Advertisement
জনদর্পণ ডেস্ক : বর্তমানে দেশের অগ্রণী মহিলারা নিজেদের চার দেওয়ালে আবদ্ধ না রেখে পরিধি বিস্তার করছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সাহিত্য, খেলাধুলা, বিজ্ঞান,অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি এরকম সমস্ত ক্ষেত্রেই তাদের প্রতিভা এখন জ্বলজ্বল করছে। সব বাধায় তাদের কাছে এখন স্রেফ তুচ্ছ। এমনকি সামাজিক বিভিন্ন আচার-উৎসবের ক্ষেত্রেও তারা সাহস জুগিয়ে এগিয়ে আসতে পারছে। ৮ মার্চ এমনই এক সাহসী পদক্ষেপ নিল বীরভূমের সদর শহর সিউড়ির একদল মহিলা। এদিন তারা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে সাবলীলভাবে পরিচালনা করল বসন্ত উৎসব। শহরের কৃষ্টি ও সাংস্কৃতিকবিকাশের ক্ষেত্রে মহিলাদের এই অংশগ্রহণ কোনও অংশেই কম বলা চলে না, তা বোঝা গেল এই উৎসব পরিচালনার ক্ষমতা দেখে।
এমনিতেই দিনটি ছিল ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’-এর। সারা দেশ সহ বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চলছিল তারই মনোরম আয়োজন। এদিকে ‘বসন্ত জাগ্রত দ্বারে’। দিকে দিকে তারই পূর্বাভাস জানিয়ে যাচ্ছে আম্র মুকুল, পলাশ, শিমুল, মৌমাছির গুঞ্জন। পরের দিন আবার আর একটি রঙিন উৎসব ‘দোল’। তাই সব মিলিয়ে এককভাবে নারী দ্বারা পরিচালিত এদিনের বসন্ত উৎসব যেন এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে গেল।
তবে এই উৎসবে শুধু মহিলারাই সামিল ছিলেন তা নয়, মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষেরাও সমান তালে অংশগ্রহণ কয়েছিলেন। এদিনের বসন্ত উৎসবের মূল উদ্যোগ নিয়েছিল নব ঊষা নৃত্যম কলা কেন্দ্রম। উৎসবের শুরুতে প্রভাতফেরীর আয়োজন ছিল সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন অঞ্চলে। তাতে সামিল হতে দেখা যায় এলাকার বিশিষ্টজনদের। উপস্থিত ছিলেন ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে তাদের অভিভাবকেরাও। আর সেই সাথে অংশগ্রহণ করেন বেশ কয়েকজন সমাজকর্মী। উপস্থিত সকলেই মহিলাদের এই নতুন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং উৎসাহ জুগিয়েছেন।
উৎসবে উপস্থিত প্রিয়নীল পাল ও মৃণাল চক্রবর্তী একত্রে জানালেন, দোলের প্রাক্কালে ও নারী দিবসের এই প্রভাতে মহিলা দ্বারা পরিচালিত এই স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখবে। জনমানসে সৃজনশীল এই উদ্যোগ যথেষ্ট অর্থবহ ও গুরুত্বপূর্ণ। মহিলাদের এই সাহসী পদক্ষেপকে অবশ্যই কুর্নিশ জানাতে হয়।
Advertisement