Advertisement
অনলাইন পেপার : বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো মারণ রোগ হল ক্যান্সার। রোগটি এমনই, যার উপযুক্ত অ্যানসার বা চিকিৎসা পদ্ধতি প্রায় অধিকাংশ চিকিৎসকেরই তেমন সঠিকভাবে জানা নেই। এখন যে প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা হচ্ছে, তা শুধুমাত্র রোগীর সাময়িক ব্যথা উপশম এবং আরও কিছুদিন বাঁচিয়ে রাখার একটা চেষ্টা বলা যায় মাত্র। যদিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের শাখায় ক্যান্সার চিকিৎসার উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটছে। চিকিৎসার প্রথম বা দ্বিতীয় ধাপে ক্যান্সার ধরা পড়লে রোগীকে প্রায় সুস্থ করে তোলা সম্ভব। কিন্তু একটু বেশি দেরি হয়ে গেলে সেই সুযোগ আর পাওয়া যায় না।
সমস্যাটা এখানেই। অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই তার প্রকৃত ক্যান্সার হয়েছে কিনা, এই উত্তর পেতে অনেক দেরি হয়ে যায়। রোগীর ক্যান্সার তখন প্রথম বা দ্বিতীয় ধাপ অতিক্রম করে পৌঁছে যায় কঠিন পর্যায়ে। তখন শুধুমাত্র কেমো প্রয়োগ করে রোগীর ব্যথা উপশম করানো ছাড়া আর বিশেষ কিছুই করার থাকে না।
ভারতে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশ অনেকটাই বেশি। এই সংখ্যা প্রতি বছরই ঊর্ধ্বমুখী। আইএএনসির একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালে এই সংখ্যাটা ছিল প্রায় ১১ লাখ ৬০ হাজারের মতো। আর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই বছর মৃত্যু বরণ করেছে প্রায় ৮ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০ জন। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দেশের প্রতি ১০ জন মানুষের মধ্যে ১ জন আক্রান্ত হচ্ছে ক্যান্সারে। তার মধ্যে প্রতি ১৫ জনের ১ জন মারা যাচ্ছে প্রায় নিশ্চিতভাবে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট ৬ ধরণের ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে দেশের মানুষ। যা হল ওরাল ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, কোলোরেন্টাল ক্যান্সার, সার্ভিক্যাল ক্যান্সার ও পেটের ক্যান্সার। এর মধ্যে স্তন ক্যান্সারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
Advertisement