পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গাতেও ইলিশের দেখা মেলে। কিন্তু স্বাদ ও গন্ধে বাংলাদেশের ইলিশ-ই ইলিশপ্রেমীদের কাছে সেরা। তাই তার চাহিদাও অনেক বেশি। প্রতি বছরই এপার বাংলার বাঙালিরা অধীর অপেক্ষায় পথ চেয়ে থাকে ওপার বাংলার ইলিশের আশায়। তবে কয়েক বছর ধরে বিদেশে ইলিশ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের। তাই চাহিদা মতো এপারের বাঙালিরা ইলিশ পেতে পারে না। |

অনলাইন পেপার : বাঙালির সবচেয়ে বড়ো উৎসব দুর্গোৎসবের প্রতীক্ষা আর মাত্র ৩ সপ্তাহের। গত বছর করোনা মহামারির জন্য এই উৎসবে ছিল একাধিক নিষেধাজ্ঞা। তার উপর অর্থনৈতিক দুর্বলতার জন্য উৎসবের রঙও ছিল অনেকটাই ফিকে। এবছর সেই নিষেধাজ্ঞা অনেকটাই শিথিল হবে বলেই মনে করছে আপামর বাঙালি। অর্থনীতিও তুলনামূলক বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যে। তাই এবারের দুর্গোৎসব যে গত বছরের তুলনায় অনেকটাই জমকালো হতে চলেছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
এর পাশাপাশি আরও একটি খুশির খবর ভেসে এলো ওপার বাংলা থেকে। বাংলাদেশ সরকার দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রায় ২০ লাখ কেজি বা ২০৮০ মেট্রিকটন ইলিশ এপারে পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে। এতে দুর্গোৎসবের মরশুমে বাঙালির রসনায় যোগ হতে চলেছে ওপার বাংলার আদরের ‘রূপালী ফসল’।
ইলিশ মূলত সাগরের নোনা জলের মাছ। বর্ষার মরশুমে অর্থাৎ ডিম পাড়ার সময়ে তারা ঝাক বেধে নদীর মিষ্টি জলে উঠে আসে। ডিম ছেড়ে আবার ফিরে যায় সাগরে। তবে অবাক ব্যাপার, একই সাগর (বঙ্গোপসাগর)-এর পাড়ে অবস্থান করা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় বাংলাদেশের নদীগুলিতেই সর্বাধিক ইলিশের আমদানি হয়। এক্ষেত্রে পদ্মার ইলিশ আবার স্বাদ ও গন্ধে জগৎ বিখ্যাত।
পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গাতেও ইলিশের দেখা মেলে। কিন্তু স্বাদ ও গন্ধে বাংলাদেশের ইলিশ-ই ইলিশপ্রেমীদের কাছে সেরা। তাই তার চাহিদাও অনেক বেশি। প্রতি বছরই এপার বাংলার বাঙালিরা অধীর অপেক্ষায় পথ চেয়ে থাকে ওপার বাংলার ইলিশের আশায়। তবে কয়েক বছর ধরে বিদেশে ইলিশ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের। তাই চাহিদা মতো এপারের বাঙালিরা ইলিশ পেতে পারে না।
বিবিসি সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, শেষবার দুর্গোৎসবে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় ইলিশ আমদানি হয়েছিল প্রায় ৫ লাখ কেজি। তবে এবছর গতবারের তুলনায় ৪ গুণ বেশি ইলিশ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
বিবিসি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভারতে ইলিশ রপ্তানির কথা জানিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে সেদেশের সরকার শর্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করার ছাড়পত্র দিয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান প্রত্যেকে ৪০ মেট্রিকটন বা প্রায় ৩৯ কেজি ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে।