দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান : ম্যালেরিয়ার প্রথম ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিল WHO

Advertisement
আরটিএসএস (RTSS) নামক এই ভ্যাকসিনটি আবিস্কার করেছে ওষুধ প্রস্থুতকারক সংস্থা জিএসকে (GSK)। এর কার্যকারিতার সাফল্যের ফলাফল সর্বপ্রথম প্রামানিত হয় ২০১৫ সালে। এতদিন একাধিক ট্রায়াল করেছে ভ্যাকসিনটি। এবার হু-এর অনুমোদন পেল এটি। তবে ভ্যাকসিনটি প্রথম তারা তৈরি করেছিল ১৯৮৭ সাল নাগাদ। দীর্ঘ গবেষণার পর এতদিন সাফল্য এসেছে এটিতে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান : ম্যালেরিয়ার প্রথম ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিল WHO
Image by Emphyrio from Pixabay

অনলাইন পেপার : এতদিন ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা হয়ে এসেছে শুধুমাত্র ওষুধের মাধ্যমে। সেক্ষেত্রে কুইনাইন বা আর্টিমেসিনিন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হত। তবে রোগ নির্ণয়ে সামান্য বিলম্ব হলে বা উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে রোগীকে অনেক সময় বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হত না। এতদিন এটি ছিল অনেক বড়ো একটি সমস্যা। তবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু (WHO)-এর অনুমোদন পেল বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন।

আরটিএসএস (RTSS) নামক এই ভ্যাকসিনটি আবিস্কার করেছে ওষুধ প্রস্থুতকারক সংস্থা জিএসকে (GSK)। এর কার্যকারিতার সাফল্যের ফলাফল সর্বপ্রথম প্রামানিত হয় ২০১৫ সালে। এতদিন ভ্যাকসিনটি একাধিক ট্রায়াল করেছে ঘানা, কেনিয়া ও মালাউই অঞ্চলে। এবার হু-এর অনুমোদন পেল এটি। তবে ভ্যাকসিনটি প্রথম তারা তৈরি করেছিল ১৯৮৭ সাল নাগাদ। দীর্ঘ গবেষণার পর এতদিন সাফল্য এসেছে এটিতে।

ম্যালেরিয়া বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী রোগগুলির মধ্যে অন্যতম। প্লাজমোডিয়াম প্রজাতির অণুজীব বা জীবাণু এই রোগের মূল কারণ। জীবাণুটি সাধারণত বহন করে থাকে স্ত্রী অ্যানাফিলিস মশা। নিজেদের বংশবিস্তারের সুবিধার জন্য রক্ত সংগ্রহ করার সময় এই জাতীয় মশা প্রাণী দেহে লালা রসের মাধ্যমে ওই জীবাণু প্রবেশ করিয়ে দেয়। তারপর জীবাণুটি পৌঁছে যায় প্রাণীর যকৃতে। পরে সেখানে বংশবৃদ্ধি করে ও ম্যালেরিয়া রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বর্তমানে প্রতি বছর সারা বিশ্বে প্রায় ৫২ কোটি মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। তার মধ্যে গড়ে প্রায় ১০-৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়। সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারাতে দেখা যায় আফ্রিকা মহাদেশের সাহারা অঞ্চলের শিশুদের। এবার মূলত এই অঞ্চলের শিশুদের জন্যই প্রথম ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিল হু।

বিবিসি সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা বিশ্বে ম্যালেরিয়ার ধরণ রয়েছে ১০০-রও বেশি। আফ্রিকান ম্যালেরিয়া ধরণগুলি এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। ভ্যাকসিনটি তৈরি করা হয়েছে মূলত এই অঞ্চলের ম্যালেরিয়া ধরণের উপর ভিত্তি করে। তাই ভ্যাকসিনটি আফ্রিকার বাইরে অন্য কোথাও প্রয়োগ করা যাবে না।

ওই রিপোর্ট থেকে আরও জানা যাচ্ছে, আরটিএসএস একটি ৪ ডোজের ভ্যাকসিন। শিশুদের প্রথম ৩টি ডোজ নিতে হবে ৫, ৬ ও ৭ মাসে। আর চতুর্থ বা শেষ ডোজটি নিতে হবে দেড় বছর বয়সে।

Advertisement
Previous articleবীরভূমে সবচেয়ে বেশি পটের দুর্গা রয়েছে হাটসেরান্দী গ্রামে (ভিডিও সহ)
Next articleসবকিছু ঠিক থাকলে ‘মলনুপিরাভির’ হবে করোনার প্রথম অ্যান্টিভাইরাল মেডিসিন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here