তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের এক বিরাট ব্যক্তিত্ব। যার রচনা ছাড়া বাংলা সাহিত্য প্রায় অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাঁর প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাসে বারবার উঠে এসেছে সেসময়ের হত দরিদ্র ও অসহায় মানুষগুলির প্রতিচ্ছবি। আরও উঠে এসেছে সেসময়ের সমাজ ও সমাজ ব্যবস্থা। তাঁর গল্প বা উপন্যাসের চরিত্রগুলিও যেন বাস্তব সামজ থেকেই তুলে এনেছেন তিনি।

জনদর্পণ ডেস্ক : গতকাল ১৯ আগস্ট বীরভূম সাহিত্য পরিষদের শতবার্ষিকী সভাকক্ষে তারাশঙ্কর স্মৃতি সাহিত্য সমাজ আয়োজিত ‘স্বাধীনতার ৭৫ বছর এবং তারাশঙ্কর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন তারাশঙ্কর গবেষক ড. দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় ও অধ্যাপক নারায়ণপ্রসাদ ভট্টাচার্য। এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্য বক্তা ছিলেন কবি ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ কওসর জমাল। উক্ত বিষয়ে দ্বিতীয় বক্তব্য রাখেন সোমনাথ মুখোপাধ্যায় এবং আকাশবাণী শান্তিনিকেতনের জয়িতা ভার্মা সরকার।
সমগ্র অনুষ্ঠানটিতে পৌরহিত্য করেন অধ্যক্ষ ড. পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়। আলোচনা সভা ছিল তথ্য ও বিশ্লেষণে রীতিমতো জমজমাট। অনুষ্ঠানের সূচনা ও সমাপ্তি সংগীত পরিবেশন করেন সুব্রত নন্দন ও তপন সরকার। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ড. পলাশ চট্টোপাধ্যায়।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস ধাত্রীদেবতা, পঞ্চগ্রাম, গণদেবতা, চৈতালি ঘূর্নী, কালিন্দী, অরণ্যবহ্নি, সুতপার তপস্যা, একটি কালো মেয়ের কথা প্রভৃতি।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের এক বিরাট ব্যক্তিত্ব। যার রচনা ছাড়া বাংলা সাহিত্য প্রায় অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাঁর প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাসে বারবার উঠে এসেছে সেসময়ের হত দরিদ্র ও অসহায় মানুষগুলির প্রতিচ্ছবি। আরও উঠে এসেছে সেসময়ের সমাজ ও সমাজ ব্যবস্থা। তাঁর গল্প বা উপন্যাসের চরিত্রগুলিও যেন বাস্তব সামজ থেকেই তুলে এনেছেন তিনি।
সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সেসময়ে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেন্ট জেভিয়ারস কলেজে পড়ার সময়েই তিনি যোগ দিয়েছিলেন অসহযোগ আন্দোলনে। পরে ১৯৩০ সাল নাগাদ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকার জন্য ইংরেজ সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে। ওই বছর ডিসেম্বর নাগাদ অবশ্য তিনি মুক্তি পান।
এদিনের অনুষ্ঠানে সৈয়দ কওসর জমাল তাঁর দীর্ঘ বক্তব্যে তারাশঙ্কর এর বিভিন্ন উপন্যাসের উদ্ধৃতি সহযোগে কিভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনের বিষয়টি পরিস্ফুট হয়েছে, তা সুন্দরভাবে তুলে ধরেন। আলোচনা চক্রের দ্বিতীয় বক্তা সোমনাথ মুখোপাধ্যায় তারাশঙ্কর এর উপন্যাসে কিভাবে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন দিক ফুটে উঠেছে, সেই বিষয়টি ইতিহাসের আলোকে ব্যাখ্যা করেন।
পরিশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি বীরভূম মহাবিদ্যালয় এর অধ্যক্ষ ড. পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় সমগ্র অনুষ্ঠানে আলোচিত বিষয়বস্তুর সারসংক্ষেপ সুচারুরূপে তুলে ধরেন।