গত বছর তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী বেকার তরুণের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ কোটি ৪৯ লাখ। অর্থাৎ বেকারত্বের হার ছিল প্রায় ১৩ শতাংশ। ২০২৪ সালে এসে এই হার অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও ILO আশা করছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এই হার আরও নেমে পৌঁছাতে পারে ১২.৮ শতাংশে।

বেকারত্ব একটি কঠিন সমস্যা যে কোনও দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে। বিশেষ করে তরুণ বেকারত্ব সমস্যা যে কোনও দেশের অর্থনীতিকে কখনওই এগিয়ে নিয়ে যেতে দেয় না। যে দেশ যত বেশি তরুণ বেকারত্ব সমস্যা র সমাধান করবে, সেই দেশের অর্থনীতি তত বেশি সক্রিয় হয়ে উঠবে, এটাই স্বাভাবিক।
২০১৯ সালের পর সমগ্র বিশ্ব জুড়ে করোনা পরিস্থিতির কারণে এক বিরাট সংখ্যক মানুষ বেকারত্ব সমস্যা র সম্মুখীন হয়েছিল। ওই দুই বছরে কর্মরত মানুষের কর্মক্ষেত্র হারানোর পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের তরুণদের মধ্যেও আরও বেশি করে বেকারত্ব সমস্যা তৈরি হতে দেখা গিয়েছে। পরে করোনা পরিস্থিতি কেটে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে সেই সমস্যার অনেকটাই উন্নতি ঘটেছে। বলা যায়, গোটা বিশ্ব জুড়েই নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। যেখানে তারুণ্যের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সম্প্রতি ILO (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখান থেকে জানা যাচ্ছে গোটা বিশ্ব জুড়ে তরুণ প্রজন্মের বেকারত্ব সমস্যা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। যার হার গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ওই প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যাচ্ছে, গত বছর তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী বেকার তরুণের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ কোটি ৪৯ লাখ। অর্থাৎ বেকারত্বের হার ছিল প্রায় ১৩ শতাংশ। ২০২৪ সালে এসে এই হার অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও ILO আশা করছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এই হার আরও নেমে পৌঁছাতে পারে ১২.৮ শতাংশে।
তরুণ প্রজন্মের এই বেকারত্ব সমস্যা হ্রাসের অন্যতম কারণ হিসেবে ILO উল্লেখ করেছে, করোনা পরিস্থিতির পর নতুন নতুন কর্মসংস্থানের উত্থানকে। যেখানে তরুণ প্রজন্মের চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই।
তবে এই বেকারত্ব সমস্যা র হ্রাস অবশ্য সব দেশে সমানভাবে ঘটেনি। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও আরব দেশগুলিতে তরুণ বেকারত্ব সমস্যার হার ২০১৯ সালের পূর্বের থেকেও ২০২৩ সালে অনেকটাই বেশি ছিল।
ভারতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার গত বছরের তুলনায় এবছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতে কর্মরত ব্যক্তির সংখ্যা যেখানে ছিল প্রায় ৫৯ কোটি ৬৭ লাখ, এবছর তা পৌঁছে গিয়েছে ৬৪ কোটি ৩৩ লাখে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবছর নতুন কর্মসংস্থান বেড়েছে প্রায় ৪ কোটি ৭০ লাখ। সেখানে অধিকাংশই তরুণ প্রজন্ম নতুন কর্মসংস্থানে যোগদান করেছে।