ড. বাবা সাহেব ভীমরাও রামজি আম্বেদকর-এর কিছু অজানা কথা

Advertisement
ab
স্বপ্নদীপ বাগদী : ভারতরত্ন ড. ভীমরাও আম্বেদকর বিশ্ব তথা ভারতবাসীর কাছে পরিচিত ড. বাবা সাহেব ভীমরাও রামজি আম্বেদকর নামে স্কুলে পঠনপাঠন শুরু করার আগে তাঁর নাম ছিল ভীমরাও রামজি সকপাল তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন বর্তমান মধ্যপ্রদেশের মৌ নামক স্থানে ১৪ এপ্রিল ১৮৯১ সালে এবং মারা যান দিল্লিতে ৬ ডিসেম্বর ১৯৫৬ সালে বাবা সাহেবের পিতা ছিলেন রামজি মালজি সকপাল এবং মা ছিলেন ভীমাবাই সকপাল রামজি মালজি সকপাল তৎকালীন ইংরেজ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন
     বাবা সাহেব জন্মগ্রহণ করেছিলেন মহার সম্প্রদায় এই সম্প্রদায়টিকে তৎকালীন সময়ে অস্পৃশ্য বলে গণ্য করা হত অর্থাৎ সে সময়ে ভারতীয় জাতি ব্যবস্থায়নিচু জাতিবলে মনে করা হত সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এঁদের কোনও সামাজিক ক্ষমতা ছিল না অধিকার ছিল না শিক্ষা গ্রহণ করার এমনকি সর্বজনীন স্থানে জল পর্যন্ত পান করার অধিকার ছিল না
     যদিও বাবা সাহেব শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু স্কুলে তাঁকে বসতে হত অন্য উঁচু সম্প্রদায়ভুক্ত শিক্ষার্থীদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে তিনি বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন বিশ্বের এক মহান পণ্ডিত হিসাবে ভারতের ইতিহাস পরে তাঁকে ভারতীয় সংবিধানের প্রণেতা এবং দলিত তথা নিচু সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের নেতা হিসাবে পরিচিতি দিয়েছে
     কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তাঁর বিশ্বখ্যাতি দৃষ্টান্ত বিশ্বের কাছে অজানা রয়ে গিয়েছে বর্তমানে তা ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে তারই কিছু দৃষ্টান্ত এখানে তুলে ধরা হল
. বাবা সাহেব ছিলেন ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি, যিনি বিদেশ থেকে প্রথম ডক্টরেট উপাধি পেয়েছিলেন। এছাড়াও এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি হিসাবে তিনি ২টি বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন।
২. ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank Of India) তৈরি হয় আম্বেদকরের নেতৃত্বে-ই।
৩. তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন State Bank Of India, Employment Exchange, Representation of Sc/St job, Education, Political (Reservation) social justices, Finance commision, Right poequality, One vote one value, Employment state insurance, power grid system, Damodar vally project, Bhakra nangal dam, Trade union, শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টা কাজের অধিকার, Provident fund, Mines maternity benefit প্রভৃতি।
৪. কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি বিশ্বের ১০০ জন পণ্ডিতদের মধ্যে বাবা সাহেব-কে প্রথম স্থানে রেখেছে (Scholars 2004)। তাঁর আত্মজীবনী কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির পাঠ্য বইয়ে আজও পড়ানো হয়।
৫. বাবা সাহেব ৬৪টি বিষয়ে মাস্টার ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি ৯টি বিদেশি ভাষা জানতেন।
৬. তিনি একমাত্র ভারতীয় হিসাবে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক থেকে ‘Doctor All Science’ উপাধি পেয়েছেন।
৭. অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ‘Survey The Makers of The Universe’-এ ১০০ জন পণ্ডিতদের মধ্যে বাবা সাহেবকে চতুর্থ স্থান দিয়েছে।
৮. বাবা সাহেব ছিলেন সমাজে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর প্রথম আইনজীবী।
     দেশ গঠনে বাবা সাহেব আম্বেদকরের অবদান গোটা ভারতবর্ষের কাছে অনস্বীকার্য। তাই ভারতবাসী এই মহান দেশনায়ককে আধুনিক ভারতের রূপকার হিসাবেও গণ্য করেছে। এবছর ১৪ এপ্রিল তাঁর ১২৯তম জন্ম দিবস পূর্ণ হচ্ছে।
(লেখক বিশ্বভারতীর শিক্ষার্থী)
  • All Rights Reserved
Advertisement
Previous articleশারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা লকডাউনে জরুরী
Next articleবঙ্গে এই প্রথম ‘নববর্ষ’ শুরু হচ্ছে বিনা উদযাপন, বিনা হালখাতায়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here