ডাইনোসর : খোঁজ মিলল এক নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের

Advertisement

এই ডাইনোসর-এর জীবাশ্ম বা হাড় জেরেমি লকউড নামের একজন শিক্ষার্থী ১৯৭৮ সাল নাগাদ আবিস্কার করেছিলেন যুক্তরাজ্যের ইসলে অব রাইট দ্বীপ অঞ্চল থেকে। তিনি বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাইথে গবেষণার কাজে যুক্ত রয়েছেন। খুঁজে পাওয়া ডাইনোসর-এর হাড়গুলি নিয়ে তিনি গত প্রায় ৪ বছর ধরে গবেষণা করেছেন। হাড়গুলির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে জেরেমি লকউড দাবি করেছেন, এটি আগের আবিস্কার হওয়া সমস্ত ডাইনোসর-এর থেকে সম্পূর্ণ পৃথক একটি প্রজাতি।


ডাইনোসর : খোঁজ মিলল এক নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের
Symbolic Image – Image by Wikilmages from Pixabay

অনলাইন পেপার : সন্ধান যেন শেষই হতে চাই না। গবেষণা যতই নিজের গতিতে চলতে থাকে। উদ্ঘাটন হতে থাকে একের পর এক নতুন অজানা বিষয়ের। ক্রমশ উন্মোচন হতে থাকে নতুন নতুন প্রজাতির প্রাণী। পৃথিবীতে জীব সৃষ্টির পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত কত কোটি জীবের সৃষ্টি হয়েছে তার সঠিক আন্দাজ পাওয়া হয়তো কোনওদিনই সম্ভব নয়। কারণ পৃথিবী বহুবার পালটে ফেলেছে নিজেকে। আর এই সঙ্গে পালটে গিয়েছে পৃথিবীর জীবমণ্ডলও।

এক এক প্রজাতির জীব এক এক সময়ে রাজত্ব করে গিয়েছে পৃথিবী জুড়ে। সময়ে সময়ে সেই সমস্ত জীবেরও নানান প্রকারভেদের উদ্ভব ঘটেছে। তাদের কোনওটির চিহ্ন থেকে গিয়েছে বর্তমান সময় পর্যন্ত। আবার কোনওটির বিন্দুমাত্র চিহ্নও মুছে গিয়েছে চিরদিনের জন্য। যে চিহ্নগুলির অস্তিত্ব কোনও রকমে টিকে গিয়েছে, বর্তমান সময়ের গবেষকেরা সেগুলিকে আবিস্কার করেছেন বিভিন্ন সময়ে।

এই যেমন সম্প্রতি এক নতুন প্রজাতির ডাইনোসর-এর সন্ধান পেলেন জীব বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের দাবি অনুযায়ী, এই নতুন প্রজাতিটি পূর্বের সমস্ত ডাইনোসর-এর থেকে অনেকটাই আলাদা। এখানে আলাদা করেছে তাদের নাকের আদল। নতুন আবিস্কৃত এই ডাইনোসর-এর নাক অন্যগুলির থেকে অনেকটাই লম্বা। বিজ্ঞানীরা এই নতুন প্রজাতির ডাইনোসর-এর নাম রেখেছেন ব্রাইস্টোনেয়াস সিমোনদসি।

দ্য গার্ডিয়ান সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই ডাইনোসর-এর জীবাশ্ম বা হাড় জেরেমি লকউড নামের একজন শিক্ষার্থী ১৯৭৮ সাল নাগাদ আবিস্কার করেছিলেন যুক্তরাজ্যের ইসলে অব রাইট দ্বীপ অঞ্চল থেকে। তিনি বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাইথে গবেষণার কাজে যুক্ত রয়েছেন। খুঁজে পাওয়া ডাইনোসর-এর হাড়গুলি নিয়ে তিনি গত প্রায় ৪ বছর ধরে গবেষণা করেছেন।

হাড়গুলির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে জেরেমি লকউড দাবি করেছেন, এটি আগের আবিস্কার হওয়া সমস্ত ডাইনোসর-এর থেকে সম্পূর্ণ পৃথক একটি প্রজাতি। এই নতুন প্রজাতিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্রাইস্টোনেয়াস সিমোনদসি’। এটি লম্বায় ছিল প্রায় ৮ মিটার। এর ওজন ছিল প্রায় ৯০০ কেজি ও দাঁতের সংখ্যা ২৮টি।

এর আগে পর্যন্ত আবিস্কার হওয়া সমস্ত ডাইনোসর-গুলিকে বিজ্ঞানীরা ২টি ভাগে ভাগ করেছিলেন, সরিস্কিয়া ও অরনিথিস্কিয়া। এই ভাগগুলি তাঁরা করেছিলেন কোমরের আকার অনুসারে। সরিস্কিয়া প্রজাতির ডাইনোসর-দের কোমর ছিল অনেকটা গিরগিটির মতো। আর অরনিথিস্কিয়া প্রজাতির কোমর ছিল পাখির মতো।

Advertisement
Previous articleআর্টেমিস : আইনি জটেই কী পিছিয়ে গেল নাসার চাঁদে মানুষ পাঠানোর কর্মসূচি?
Next articleজগদ্ধাত্রী পুজো : কৃষ্ণনগর ও চন্দননগরে যেভাবে শুরু হয়েছিল এই পুজো

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here