শিশুদের অবস্থা এখানে সবচেয়ে খারাপ। এমনিতেই মাদাগাস্কারে জন্মহার কিছুটা বেশি। প্রতি নারী পিছু এখানে শিশুর সংখ্যা গড়ে প্রায় ৫টি। ২০০৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, শিশু মৃত্যুর হারও প্রতি ১ হাজারে প্রায় ৭৪টি। শিশুদের অবস্থা সম্পর্কে ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’-র ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে মাদাগাস্কারে ৫ বছরের কম বয়সী মোট শিশুর প্রায় অর্ধেকই এখন অপুষ্টিতে ভুগছে। এমনকি পরিবারকে খাদ্য জোগাতে সাহায্য করার জন্য দক্ষিণ মাদাগাস্কারের আমবোয়াসারি জেলার ৪ ভাগের ৩ ভাগ শিশু স্কুল ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। |

অনলাইন পেপার : কোনও দেশ এক বছর খরার কবলে পড়লে, তার অবস্থা হতে পারে সঙ্গিন। ভুগতে হতে পারে খাদ্য সঙ্কটে। কিন্তু টানা ৩ বছর খরা চললে সেই দেশের অবস্থা কি হতে পারে, এখন তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ অবশ্যই মাদাগাস্কার। এখানে ১৯১৮ সাল থেকে একটানা ৩ বছর ধরে চলছে তীব্র খরা। ফলে সেখানে দেখা দিয়েছে মারাত্মক খাদ্য সঙ্কট। বিশেষ করে দক্ষিণ মাদাগাস্কারের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ, সেখানকার অধিবাসীরা নিরুপায় হয়ে খিদের জ্বালা মেটাতে বাধ্য হচ্ছে বনের পোকামাকড় ভক্ষণ করতে।
দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার সমুদ্র বেষ্টিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি বিশ্বের প্রথম সারির দরিদ্র দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। চারিদিকে সমুদ্র বেষ্টিত হওয়ার পরেও খরার হাত থেকে কখনও রেহায় মেলে না দেশটির। ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’-র প্রকাশিত সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, দ্বীপ রাষ্ট্রটির দক্ষিণ অংশ অর্থাৎ দক্ষিণ মাদাগাস্কারের প্রায় ১৫ লাখ মানুষ এখন খরার কবলে রয়েছে, যা ওই অংশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। এখানে খাদ্য সঙ্কট এতটাই তীব্র আকার ধারণ করেছে, মানুষেরা বাধ্য হচ্ছে পোকামাকড় খেতে।
শিশুদের অবস্থা এখানে সবচেয়ে খারাপ। এমনিতেই মাদাগাস্কারে জন্মহার কিছুটা বেশি। প্রতি নারী পিছু এখানে শিশুর সংখ্যা গড়ে প্রায় ৫টি। ২০০৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, শিশু মৃত্যুর হারও প্রতি ১ হাজারে প্রায় ৭৪টি। শিশুদের অবস্থা সম্পর্কে ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’-র ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে মাদাগাস্কারে ৫ বছরের কম বয়সী মোট শিশুর প্রায় অর্ধেকই এখন অপুষ্টিতে ভুগছে। এমনকি পরিবারকে খাদ্য জোগাতে সাহায্য করার জন্য দক্ষিণ মাদাগাস্কারের আমবোয়াসারি জেলার ৪ ভাগের ৩ ভাগ শিশু স্কুল ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।
ওই প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যাচ্ছে, দেশটিতে গত ৩ বছর ধরে টানা খরা চলার জন্য খাদ্য উৎপাদন তেমন কিছুই হয়নি। ফলে খাদ্য সঙ্কট ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১ লাখ মানুষকে সাহায্য করা হয়েছে। তবে পুরোপুরি সাহায্য করার জন্য আরও ৩ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের প্রয়োজন রয়েছে। এখানে ঘটে চলা সম্পূর্ণ ঘটনাটিকে ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’ অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলেছে।