জেগে উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার ‘ভূমি দৈত্য’, আকাশ ঢেকেছে ছাইয়ে

Advertisement

প্রায় ৪০০ বছর সুপ্ত থাকার পর ২০১০ সাল নাগাদ মাউন্ট সিনাবাং সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। ২০১৬ সালে শেষবার এটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। পরে কিছুদিন ঝিমিয়ে থাকার পর আবারও ২০২০ সালে এসে এটি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হতে শুরু করেছে। এবার আকাশের প্রায় ১৬৪০০ ফুট পর্যন্ত এর ছাই উড়তে দেখা গিয়েছে। – ছবি : সংগৃহীত

indonesia s mount sinabung wakes up

অনলাইন পেপার : ২০১৬ সালের পর আবারও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি মাউন্ট সিনাবাং। গত সপ্তাহ থেকে বারংবার অগ্নুৎপাত ঘটিয়ে চলেছে এটি। গত ১০ আগস্ট থেকে সে যেন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। আকাশের প্রায় ১৬৪০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠছে তার ধোঁয়া আর ছাই। অনেক দূর থেকেও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে মাউন্ট সিনাবাং-এর এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য।

     মাঝে মধ্যেই ভূগর্ভস্থ উত্তপ্ত গলিত লাভা ভূপৃষ্ঠের ফাটল পথে বাইরে বেরিয়ে আসে। এই লাভার সঙ্গে মিশে থাকে প্রাকৃতিক গ্যাস, জলীয় বাস্প, শিলা, কাদা, ছাই প্রভৃতি। তারপর পরিবেশের শীতল বাতাসের সংস্পর্শে সেই লাভা ধীরে ধীরে জমে শক্ত হতে থাকে। যে পথে লাভা বেরুতে শুরু করে তার চারপাশে ক্রমাগত জমতে জমতে এক সময় শঙ্কু আকৃতির পাহাড় বা পর্বতের রূপ নেয়। তখন একে আগ্নেয়গিরি বলা হয়ে থাকে। কোনও কোনও আগ্নেয়গিরির মুখ থেকে সর্বদা লাভা বেরুতে থেকে। পৃথিবীতে এরকম অসংখ্য আগ্নেয়গিরি রয়েছে।

indonesia s mount sinabung wakes up 2
মাউন্ট সিনাবাং থেকে ছড়িয়ে পড়ছে ছাই

     তবে সব আগ্নেয়গিরি থেকেই যে সর্বদা অগ্ন্যুৎপাত হবে তার কোনও কথা নেই। অগ্ন্যুৎপাতের সময়কাল অনুযায়ী আগ্নেয়গিরিগুলিকে আবার ৩ ভাগে ভাগ করা হয়- জাগ্রত আগ্নেয়গিরি, সুপ্ত আগ্নেয়গিরি আর লুপ্ত আগ্নেয়গিরি। ইন্দোনেশিয়ার এই মাউন্ট সিনাবাং-কে অনেকেই সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলছেন। যে সমস্ত আগ্নেয়গিরি দীর্ঘদিন ঘুমিয়ে থাকার পর হঠাৎ করে জেগে ওঠে তাদেরকেই সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলা হয়ে থাকে। মাউন্ট সিনাবাং ২০১৬ সালের পর আবারও অগ্ন্যুৎপাত ঘটাতে শুরু করেছে।

     ইন্দোনেশিয়ার এই আগ্নেয়গিরিটি একটা সময় প্রায় ৪০০ বছর সুপ্ত অবস্থায় ছিল। পরে ২০১০ সাল নাগাদ এটিকে আবার সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা যায়। তারপর ২০১৩ ও ২০১৬ সালে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে এটি। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারও ২০২০ সালে অগ্ন্যুৎপাত ঘটাতে শুরু করেছে এই মাউন্ট সিনাবাং।

     তবে গত ১০ আগস্ট থেকে এটি অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বহুদূর পর্যন্ত উড়ে যেতে শুরু করেছে কালো ছাই। পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে দিনের আলোকোজ্জ্বল মুহূর্তেও এর ধোঁয়া আর ছাইয়ের জন্য প্রায় রাতের অন্ধকার নেমে আসতে দেখা গিয়েছে। যদিও এলাকাটি পূর্ব থেকেই রেড জোনের মধ্যেই ছিল। নতুন করে ইন্দোনেশিয়া প্রশাসন সেখানে রেড জোন মেনে চলার নির্দেশ জারি করেছে।

Advertisement
Previous articleসাপ মারা থেকে বিরত থাকুন, অনুরোধ সাপুড়ের
Next articleএবার সর্দি থেকেও মিলবে মুক্তি, আসছে টিকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here