Advertisement
অনলাইন ডেস্ক : বিজ্ঞান ক্রমশ এগিয়েই চলেছে। প্রতিদিনই তার মুকুটে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন আবিস্কারের পালক। আর এবার নতুন পালক এনে দিয়েছেন হে জিয়ানক নামের এক চিনা বিজ্ঞানী। তাঁর দাবি, তিনিই এই পৃথিবিতে প্রথম জিনগত পরিবর্তন ঘটানো মানব শিশুর জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন। এই ঘটনায় অবশ্য বিজ্ঞানী মহল দ্বিধাবিভক্ত।
বিবিসি সংবাদ সূত্রে জানা যায়, হে জিয়ানক নামের ওই চিনা বিজ্ঞানী দুটি যমজ কন্যা সন্তানের ভ্রূণের ডিএনএ থেকে সিসিআরফাইভ নামের এক ধরণের প্রোটিন আলাদা করতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে ওই শিশু দুটি ভবিষ্যতে কখনও এইচআইভি-তে আক্রান্ত হবে না। আরও জানা যায় তিনি ৮টি দম্পতিকে নিয়ে তাঁর গবেষণা চালিয়েছেন। যাঁদের প্রত্যেক পুরুষ ছিলেন এইচআইভি পজেটিভ এবং স্ত্রী ছিলেন এইচআইভি নেগেটিভ। এদেরই এক দম্পতির যমজ সন্তান ছিল তাঁরা। স্বাভাবিকভাবে তাঁদের জন্ম হলে দুজনই এইচআইভি পজিটিভে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকতো। কিন্তু তাঁদের জিন থেকে সিসিআরফাইভ নামের প্রোটিন আলাদা করে দেওয়ায় জিনের কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে ওই শিশুদের এইচআইভি-তে আক্রান্ত হওয়ার আর কোনও সুযোগই নেই।
তবে এই গবেষণায় বিজ্ঞানী মহল ইতিমধ্যে দ্বিমত পোষণ করা শুরু করেছেন। এক পক্ষের বক্তব্য, এখানে প্রাকৃতিক উপায়ে মানব ভ্রূণের জিন গঠনের উপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এখানে কেবল মাত্র একজন ব্যক্তিরই জিনের পরিবর্তন করা হচ্ছে তা নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মেরও জিন বদলে দেওয়া হচ্ছে। এতে সুস্থ শিশুরাও জিনসম্পাদনা জনিত ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
আবার অনেক বিজ্ঞানী এই গবেষণাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, এই গবেষণায় পুরোপুরি সফলতা এলে মানব সমাজটাই বদলে যাবে। মানুষ তাঁদের ইচ্ছামত শিশু তৈরি করতে পারবে।
Advertisement