১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া-ই জ্যান কউম প্রতিষ্ঠা করেন ‘হোয়াটসঅ্যাপ ইনকরপোরেটেড’। কিন্তু প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে হোয়াটসঅ্যাপ মোটেও আশানরূপ ছিল না। বারবার ক্রাস করত এই অ্যাপসটি। পরে আরও কিছু ডেভলপ করে ওই বছরই তিনি বের করেন হোয়াটসঅ্যাপ ২.০। এর কিছুদিন পর যোগ দেন তাঁরই এক পুরনো বন্ধু ব্রায়ান এক্টন। পরের বছর অর্থাৎ ২০১০ সালের আগস্টে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনগুলিতেও যুক্ত হয় হোয়াটসঅ্যাপ। ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে এই ম্যাসেজিং অ্যাপ্লিকেশনটি। |

অনলাইন পেপার : জন্মের মাত্র বারো বছরের মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপ পৃথিবীর অন্যতম সেরা একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বর্তমানে অতি দ্রুত ভয়েস, ভিডিও, ইমেজ, ডকুমেন্টস পাঠানো সম্ভব। সরাসরি পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের ব্যক্তির সঙ্গে অনলাইনে ভিডিও চ্যাটও করা যায়। অতি দ্রুত জনপ্রিয় হওয়ার জন্য একটা সময়ে ফেসবুকের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ম্যাসেঞ্জারকেও টেক্কা দিতে শুরু করেছিল এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে এখন এই মোবাইল অ্যাপসটি ফেসবুক গ্রুপেরই একটি অংশ হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু সম্প্রতি দুঃসংবাদ নিয়ে এল হোয়াটসঅ্যাপ। কারণ আগামী বছরের প্রথম দিন থেকেই বেশ কয়েকটি স্মার্টফোনে বন্ধ হয়ে যাবে এই সার্ভিস। তাদের সবগুলিই অবশ্য পুরনো অপারেটিং সিস্টেম। এই সব স্মার্টফোনগুলির মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন উভয়ই থাকছে। এই তথ্য জানতে পারা গিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ FAQ পেজ থেকে।
কোন কোন স্মার্টফোনে বন্ধ হয়ে যাবে হোয়াটসঅ্যাপ? অ্যান্ড্রয়েড ৪.০.৩ অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোন বা তার নিচের ভার্সনগুলির কোনওটিতেই আর কাজ করবে না হোয়াটসঅ্যাপ। এই তালিকায় থাকবে স্যামসং গ্যালাক্সি এস২, এলজি অপটিমাস ব্ল্যাক, এইচটিসি ডিজাইয়ার, মোটোরোলা ড্রয়েড রাজ-এর মতো স্মার্টফোনগুলি।
আইফোনগুলির তালিকাও বেশ দীর্ঘ। এই তালিকায় থাকবে আইফোন ৪, আইফোন ৪এস, আইফোন ৫, আইফোন ৫এস, আইফোন ৬, আইফোন ৬এস, আইফোন ৬ প্লাস, আইফোন এসই। তবে এই স্মার্টফোনগুলিকে আপডেট করলেই হোয়াটসঅ্যাপ চালানো সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে প্রথম ৬টি আইফোনকে আইওএস ৯ এবং পরের ২টিকে আইওএস ১৪ দিয়ে যথাক্রমে আপডেট করতে হবে।
জনপ্রিয় এই মোবাইল অ্যাপসটির জনক জ্যান কউম। তিনি ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র আইফোনের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রথম দিকে এটি মূলত ম্যাসেজ চালনা করার জন্যই তৈরি করা হয়েছিল। জ্যান কউম প্রথম জীবনে ছিলেন সার্চ ইঞ্জিন ‘ইয়াহু’-র একজন সাধারণ কর্মচারী। পরে তিনি ইয়াহু ছেড়ে দেওয়ার পর ‘ফেসবুক’-এ প্রবেশের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
পরে জ্যান কউম সিদ্ধান্ত নেন আইফোনের কোনও অ্যাপস তৈরি করার। অবশেষে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া-ই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘হোয়াটসঅ্যাপ ইনকরপোরেটেড’। কিন্তু প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে হোয়াটসঅ্যাপ মোটেও আশানরূপ ছিল না। বারবার ক্রাস করত এই অ্যাপসটি। পরে আরও কিছু ডেভলপ করে ওই বছরই তিনি বের করেন হোয়াটসঅ্যাপ ২.০। এর কিছুদিন পর যোগ দেন তাঁরই এক পুরনো বন্ধু ব্রায়ান এক্টন। পরের বছর অর্থাৎ ২০১০ সালের আগস্টে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনগুলিতেও যুক্ত হয় হোয়াটসঅ্যাপ। ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে এই ম্যাসেজিং অ্যাপ্লিকেশনটি। অবশেষে ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রায় ১৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে হোয়াটসঅ্যাপ বিক্রি হয়ে যায় ফেসবুকের কাছে।