চমকপ্রদ আবিস্কার! ‘ওদাক’ দ্বীপটি এখন আর সর্ব উত্তরের দ্বীপ নেই

Advertisement
দ্বীপটির আবিস্কার অনেকটা চমকপ্রদভাবেই ঘটেছে। আসলে গত জুলাইয়ে সুইজারল্যান্ড ও ডেনমার্কের ৬ জন গবেষক ওদাক দ্বীপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিলেন সেখানকার কিছু নমুনা সংগ্রহ করতে। কিন্তু তাঁদের হেলিকপ্টার যেখানে অবতরণ করে, সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে ওদাকের কোনও মিল ছিল না। পরে ওই অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, তাঁরা আসলে ওদাক নয়, সেখান থেকে আরও ৮০০ মিটার উত্তরে সরে এসেছেন।
চমকপ্রদ আবিস্কার! ‘ওদাক’ দ্বীপটি এখন আর সর্ব উত্তরের দ্বীপ নয়
Greenland – Image by Jean-Christophe ANDRE from Pixabay

অনলাইন পেপার : দ্বীপ বললেই চোখের সামনে এমন একটি ভূখণ্ড ভেসে ওঠে, যার চতুর্দিকে থাকে জল। মাঝের অংশটি পাশের জলস্তর থেকে কোনও কারণে উঁচু হয়ে এই রকম স্থলভাগে রূপান্তরিত হয়। এটি ক্ষুদ্রও হতে পারে আবার সুবৃহৎও হতে পারে। কালক্রমে বসবাসের উপযুক্ত স্থানও হয়ে উঠতে পারে। পরে এখানে গড়ে উঠতে পারে সবুজ গ্রাম বা শহর। অথবা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের অভাবে পরিত্যক্ত ভূমি হিসাবে থেকেও যেতে পারে।

এখন যদি পৃথিবীর সর্ব উত্তরের দ্বীপ কোনটি? প্রশ্ন করা হয়, অধিকাংশেই উত্তর দেবে ‘গ্রিনল্যান্ড’। তবে মনে রাখতে হবে গ্রিনল্যান্ড আসলে সুবৃহৎ একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। এর একদিকে রয়েছে আটলান্টিক মহাসাগর, অপরদিকে আর্কটিক সাগর। এটি বর্তমানে ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণাধীন। অঞ্চলটি বসবাসের জন্য খুব যে অনুকূল, তা নয়। তা স্বত্বেও এখানে ১৬টি বড় বড় শহর গড়ে উঠেছে।

এই গ্রিনল্যান্ডের চতুর্দিকেই রয়েছে ছোটো-বড় অজস্র দ্বীপ। তারই একটি ‘ওদাক’। ১৯৭৮ সালে এই দ্বীপ আবিস্কৃত হয়। পর্যবেক্ষণের পর ভূ-গবেষকেরা দ্বীপটিকে পৃথিবীর সর্ব উত্তরের দ্বীপ হিসাবে স্বীকৃতি দেন।

তবে দীর্ঘ ৪৩ বছর পর এবার বোধহয় সেই স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়া হতে পারে ‘ওদাক’-এর থেকে। কারণ বিস্ময়করভাবে ‘ওদাক’-এরও উত্তরে আরও একটি ছোটো দ্বীপের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকেরা। হয়তো নতুন আবিস্কৃত এই দ্বীপটিকেই সর্ব উত্তরের দ্বীপ হিসাবে ঘোষণা করা হতে পারে। যদিও দ্বীপটির কি নাম দেওয়া হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।

দ্বীপটির আবিস্কার অনেকটা চমকপ্রদভাবেই ঘটেছে। আসলে গত জুলাইয়ে সুইজারল্যান্ড ও ডেনমার্কের ৬ জন গবেষক ওদাক দ্বীপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিলেন সেখানকার কিছু নমুনা সংগ্রহ করতে। কিন্তু তাঁদের হেলিকপ্টার যেখানে অবতরণ করে, সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে ওদাকের কোনও মিল ছিল না। পরে ওই অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, তাঁরা আসলে ওদাক নয়, সেখান থেকে আরও ৮০০ মিটার উত্তরে সরে এসেছেন।

তাঁদের আসল চমক ছিল এখানেই। কারণ যেখানে তাঁদের হেলিকপ্টার অবতরণ করেছে, ওই দ্বীপটির অস্তিত্ব সম্পর্কে পূর্বে কারও কোনও ধারণা ছিল না। সম্পূর্ণ নতুন ও অজ্ঞাত একটি স্থলভাগে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। চতুর্দিকে বরফ ঘেরা কর্দমাক্ত ও নুড়ি-পাথর বিছানো ওই স্থানটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ মিটার ও প্রস্থ ৩০ মিটার।

এটি সুমেরু বা উত্তর মেরুর খুবই নিকটবর্তী একটি দ্বীপ। দ্বীপটি আবিস্কারের পরই সর্ব উত্তরের দ্বীপ নিয়ে ওদাকের উপর তৈরি হয়েছে বড়ো প্রশ্নচিহ্ন। ইতিমধ্যে অনেকেই নতুন আবিস্কৃত দ্বীপটিকে সর্ব উত্তরের দ্বীপ হিসাবে স্বীকৃতিও দিয়ে ফেলেছেন। তবে অনেকে আবার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন, অদূর ভবিষ্যতে এই নতুন দ্বীপটি আবার হারিয়ে যাবে না তো!

Advertisement
Previous articleঝাড়খণ্ডের আদিবাসী চিত্রকলা তুলে ধরতে বিশেষ কর্মশালা সৃজনীতে
Next articleসময়কে বুঝতে না পেরে জনপ্রিয়তা হারিয়েছে যে বিখ্যাত কোম্পানিগুলি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here