কয়েকদিন আগেই থাইল্যান্ড উপকূলের কাছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। ক্রমশ এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকে এবং সেই সঙ্গে এটির শক্তিও বৃদ্ধি পেতে থাকে। প্রথমে নিম্নচাপ, পরে শক্তিশালী নিম্নচাপ ও অবশেষে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছে এটি। নাম দেওয়া হয়েছে জাওয়াদ। নামটি রেখেছে সৌদি আরব। এটি একটি আরবি শব্দ। যার বাংলা অর্থ ‘দয়ালু’ বা ‘উদার’।

জনদর্পণ ডেস্ক : আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা সত্যি করে বঙ্গোপসাগরে আবারও একটি ঘূর্ণিঝড় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, তার নাম রাখা রয়েছে ‘জাওয়াদ’। আপাতত এটির অভিমুখ রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলভাগের দিকে। তবে এটি কোন অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই মুহূর্তে জাওয়াদ-এর কেন্দ্র অঞ্চলের হাওয়ার গতিবেগ প্রায় ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এই গতি আরও বাড়তে পারে।
কয়েকদিন আগেই থাইল্যান্ড উপকূলের কাছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। ক্রমশ এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকে এবং সেই সঙ্গে এটির শক্তিও বৃদ্ধি পেতে থাকে। প্রথমে নিম্নচাপ, পরে শক্তিশালী নিম্নচাপ ও অবশেষে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছে এটি। নাম দেওয়া হয়েছে জাওয়াদ। নামটি রেখেছে সৌদি আরব। এটি একটি আরবি শব্দ। যার বাংলা অর্থ ‘দয়ালু’ বা ‘উদার’।
প্রথম দিকে জাওয়াদ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হলেও উইন্ডি ডট কম সূত্রে জানা যাচ্ছে, পরে এর অভিমুখের পরিবর্তন ঘটতে পারে। জানা যাচ্ছে, এটি ৪ ডিসেম্বর দুপুরের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছে উপস্থিত হবে। সেখানে কিছুক্ষণ স্থিরভাবে অবস্থান করে আরও কিছুটা শক্তি বৃদ্ধি করবে। পরে এর অভিমুখ হতে পারে উত্তর-পূর্ব দিকে।
আবহবিদদের একাংশের দাবি, জাওয়াদ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশার কোনও একটি স্থান দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। তবে সেই দাবিও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। কারণ জাওয়াদ-এর গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, জাওয়াদ-এর অভিমুখের ৩ অবস্থা হতে পারে –
১. উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশার কোনও একটি অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে জাওয়াদ শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।
২. অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা সমুদ্র উপকূল বরাবর উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে পূর্ণ শক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এমনটি হলে জাওয়াদ-এর শক্তি পূর্বের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।
৩. স্থলভাগে প্রবেশ না করে সমুদ্রেই শক্তি হারিয়ে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তবে সেই সম্ভাবনা অনেকটাই কম।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ৪ ডিসেম্বর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনায় বৃষ্টি শুরুর সম্ভাবনা থাকবে। সেই সঙ্গে সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। ৫ ডিসেম্বর বৃষ্টির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাগুলিতেই। সেই সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।
এদিকে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে পারেন চাষিরা। কারণ ধান কাটার পাশাপাশি আলু রোপণের মরশুম চলছে এখন। অসময়ের অতিবৃষ্টিতে ফসল ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে অনেকটাই। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে পাকা ধান যেমন মাঠেই ঝরে যেতে পারে, তেমনি সদ্য রোপণ করা আলু বীজও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।