আবার বিপদ! ঘূর্ণিঝড় গুলাব-এর পিছনেই আসছে আর এক ঘূর্ণাবর্ত

Advertisement
তবে ‘গুলাব’-এই শেষ নয়। চোখ রাঙাচ্ছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। যেটি চিন সাগর থেকে একটু একটু করে এগিয়ে আসছে পূর্ব বঙ্গোপসাগরের দিকে। বর্তমানে তার অবস্থান থাইল্যান্ডের স্থলভাগের উপর। উইন্ডিডটকম চিত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল নাগাদ ঘূর্ণাবর্তটি মায়ানমার উপকূলে অবস্থান করবে। সেখান থেকে উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর রাতের দিকে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলে পৌঁছবে।
আবার বিপদ! ঘূর্ণিঝড় গুলাব-এর পিছনেই আসছে আর এক ঘূর্ণাবর্ত
Symbolic Image – Image by Wikilmages from Pixabay

জনদর্পণ ডেস্ক : আবহবিদের পূর্বাভাস ছিল অতি গভীর নিম্নচাপের। কিন্তু মায়ানমার উপকূলে সৃষ্টি হওয়া সেই ঘূর্ণাবর্তটি এখন ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পরই তার নাম দেওয়া হবে ‘গুলাব’। এটি পাকিস্তানের প্রস্তাবিত নাম। ঘূর্ণাবর্তটি ইতিমধ্যেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এর অভিমুখ দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশের মধ্যবর্তী উপকূল।

আবহবিদরা জানাচ্ছেন, ২৫ সেপ্টেম্বর রাতের মধ্যেই ঘূর্ণাবর্তটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে। এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা নাগাদ এটি অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার মধ্যবর্তী কলিঙ্গপত্তনমের উপর দিয়ে স্থলভূমিতে প্রবেশ করতে পারে। যদিও এটি একটি অতি সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা এর খুবই কম। তবে স্থলভূমিতে প্রবেশের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ৭০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। পরে শক্তি ক্ষয় করে এটি পরিণত হবে অতি গভীর নিম্নচাপে। ইতিমধ্যে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের উপর সরাসরি এর প্রভাব না পড়লেও, নিম্নচাপের প্রভাবে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এর পাশাপাশি কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলী সহ দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বা কোনও কোনও অঞ্চলে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। বৃষ্টি বাড়তে পারে মঙ্গলবার থেকে। প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপর সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

তবে ‘গুলাব’-এই শেষ নয়। চোখ রাঙাচ্ছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। যেটি চিন সাগর থেকে একটু একটু করে এগিয়ে আসছে পূর্ব বঙ্গোপসাগরের দিকে। বর্তমানে তার অবস্থান থাইল্যান্ডের স্থলভাগের উপর। উইন্ডিডটকম চিত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল নাগাদ ঘূর্ণাবর্তটি মায়ানমার উপকূলে অবস্থান করবে। সেখান থেকে উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর রাতের দিকে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলে পৌঁছবে। তারপর ক্রমশ আরও উত্তর-পশ্চিমে এগিয়ে যাবে। যাত্রাপথে শক্তি বৃদ্ধি করে পরিণত হবে অতি গভীর নিম্নচাপে।

যদিও এই ঘূর্ণাবর্তের নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে আবহবিদদের ধারণা স্থলভূমিতে প্রবেশের সময় উপকূলীয় অঞ্চলে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ৫০-৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকবে।

এবছর নিম্নচাপ যেন কোনওভাবেই পিছু ছাড়ছে না বঙ্গের। একটির পর একটি নিম্নচাপ ক্রমশ আঘাত হেনেই চলেছে সমগ্র বঙ্গদেশ জুড়ে। দিন কয়েক আগেই নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারি ও কয়েকটি জেলায় অতিভারি বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। নিচু অঞ্চলগুলির জল এখনও পুরোপুরি নামেনি। নতুন করে নিম্নচাপ এলে ওই অঞ্চলগুলির অবস্থা আরও অবনতি হতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হুগলী, ঝাড়গ্রামে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকবে।

Advertisement
Previous articleসাড়ে ছয় কোটি বছর আগে ডাইনোসর ধ্বংস হলেও টিকে ছিল সাপ
Next articleজ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এখন গোল্ডিলকস জোন-এর গ্রহ খুঁজছে, কিন্তু কেন?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here