Advertisement
রঞ্জন সরকার : সূর্যের বোধহয় একটু ঝিমুনি ভাব এসেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তাঁদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানাচ্ছেন, পৃথিবী চলতি বছরেই একটি ‘সৌর সর্বনিম্ন’ প্রত্যক্ষ করতে চলেছে। যার ফলে শীতকালীন গড় তাপমাত্রা ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস কমার সম্ভাবনা থাকবে। সেই সাথে পরবর্তী ৩০ বছর শীতপ্রধান অঞ্চলগুলিতে শীতের মরশুমে চলতে পারে তীব্র তুষার ঝড়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাঝে মধ্যেই সূর্যের তাপশক্তি স্বাভাবিকের চেয়ে কম উৎপাদিত হয়। কিন্তু ২০০ বছর অন্তর স্বাভাবিক তাপশক্তি উৎপাদন অনেকটাই কমে যায়। যেমন এই বছর হতে চলেছে। সূর্যের এই অবস্থাকে ‘সৌর সর্বনিম্ন’ বলা হয়েছে। এই সময়ে সূর্যের তাপশক্তি স্বাভাবিকের চেয়ে কম উৎপাদিত হবে। আর সেই সাথে ‘সান স্পট’-এর সংখ্যাও অনেক কমে দেখা যাবে। যেন মনে হবে সূর্যের ঝিমুনি এসেছে।
বিজ্ঞানীরা আরও জানাচ্ছেন, ২০২০ সাল অর্থাৎ চলতি বছরে সূর্য সবচেয়ে ‘সৌর সর্বনিম্ন’ ক্রিয়ায় পৌঁছবে। দা সান রিপোর্টে নর্থামব্রিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিশেষজ্ঞ ভ্যালেন্টিনা ঝারকোভা জানিয়েছেন, এই সময়ে শীতকালীন গড় তাপমাত্রা গড়ে ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যাবে। এই ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস আপাতভাবে কম মনে হলেও সমগ্র পৃথিবীর কাছে উল্লেখযোগ্য হ্রাস। তিনি আরও জানিয়েছেন, সূর্যের ১১ বছর অন্তর যে ‘সৌর সর্বনিম্ন’ হয়, সেটি অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু প্রতি ২০০ বছর অন্তর ‘সৌর সর্বনিম্ন’ একটি অস্বাভাবিক ঘটনার মধ্যেই পড়ে।
তবে মজার ব্যাপার, ২০২০ সাল বা চলতি বছরে যে ‘সৌর সর্বনিম্ন’ ঘটবে সেটি সাধারণত ৪০০ বছর অন্তর একবার ঘটে থাকে। যার মেয়াদ থাকবে পরবর্তী ৩০ বছর। তাই অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী এই ঘটনাকে মজা করে সূর্যের ঘুমের সাথে তুলনা করেছেন।
Advertisement