Advertisement
এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচবার পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে পেরিয়ে গিয়েছে গ্রহাণু ‘২০২০এনডি’। আগামী ২৪ জুলাই আরও একবার পৃথিবীর খুব কাছে এসে উপস্থিত হবে সে। এমনিতেই এই গ্রহাণুটিতে নাসা পৃথিবীর পক্ষে ক্ষতিকারক বলেই চিহ্নিত করেছে। তাই আশঙ্কার একটা বিষয় অবশ্যই থেকে যাচ্ছে পৃথিবীর পক্ষে। – ছবি : সংগৃহীত
|
সোমনাথ মুখোপাধ্যায় :আগামী ২৪ জুলাই গ্রহাণু ‘২০২০এনডি’ পৃথিবীর অত্যন্ত কাছে আসতে চলেছে। গ্রহাণুটির ব্যাস ১৬০ মিটার বা ৫২০ ফুট। আয়তনের দিক থেকে এটিকে বড় গ্রহাণুর পর্যায়েই ফেলা যায়। এরকম একটি সুবৃহৎ গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়লে কি ব্যাপক ধ্বংসলীলা হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। তাই এমন বৃহৎ গ্রহাণু পৃথিবীর নিকটে আসার সংবাদ রীতিমতো আশঙ্কার বিষয়। বিশেষ করে নাসা (NASA) যখন এটিকে Near Earth object (NEO) হিসেবে পৃথিবীর পক্ষে ক্ষতিকারক বলেই চিহ্নিত করেছে (PHA)।
কিন্তু এবারের মতো চিন্তার তেমন কোনও কারণ নেই বলেই মনে করছে নাসা। নাসা জানাচ্ছে, এটি কমপক্ষে পাঁচবার পৃথিবীর কাছ দিয়ে অতিক্রম করেছে। গ্রহাণু 2020ND প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৯৪৫ সালের ১৭ জুলাই, তারপর থেকে অন্তত আরও চারবার এটি পৃথিবীর অত্যন্ত কাছ দিয়ে অতিক্রম করেছে। বাস্তবিক গ্রহাণুটি সূর্যের চারপাশে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথ মেনে প্রদক্ষিণ করছে। তাই আগের পাঁচ বারের মতো নিরাপদেই এবারেও সে পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করে চলে যাবে। আশ্চর্যের বিষয়, এই বিশেষ গ্রহাণুটি প্রতিবার যখন পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে, তখন সে মঙ্গলেরও খুব কাছে পৌঁছে যায়।
আগামী ২৪ জুলাই গ্রহাণুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে যখন আসবে, তখন তার দূরত্ব হবে ৫৫৭০,০০০ কিলোমিটার। কতটা দূর সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য বলতে হয় পৃথিবী থেকে চাঁদের গড় দূরত্ব ৩৮৫০০০ কিলোমিটার। কাজেই গ্রহাণুটি তার থেকেও অনেক বেশি দূর দিয়ে যাওয়ায় এই মুহূর্তে পৃথিবীর আশঙ্কার কোনও কারণ নেই।
নাসা জানাচ্ছে, ২৪ জুলাইয়ের পর আবার গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে ২০৩৫, ২০৭৪ ও ২১৪৫ সালে এবং এভাবেই তার আসা যাওয়া চলতে থাকবে, যদি না সে কক্ষপথ পরিবর্তন করে। তাই এই সুশৃঙ্খল গ্রহাণুটিকে নিয়ে গবেষণার জন্য নাসা মোটেও মাথা ঘামাচ্ছে না। তবু নাসা যেহেতু গ্রহাণুটিকে ক্ষতিকারক বলে চিহ্নিত করেছে তাই আশঙ্কা একটা থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু তা নিয়েও চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেও জানাচ্ছে নাসা।
নাসা আরও জানাচ্ছে, ভবিষ্যতে কোনও গ্রহাণু পৃথিবীর পক্ষে যদি সত্যি আশঙ্কার কারণ হয়ে ওঠে, তাকে পৃথিবী থেকে যথেষ্ট দূরত্বে পারমাণবিক বিস্ফোরণের মাধ্যমে ধ্বংস করে দেওয়ার প্রযুক্তি তাদের হাতে রয়েছে।
Advertisement