গাঁজা এখন বৈধ, এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে থাইল্যান্ডের ঘোষণা

Advertisement

গাঁজা দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার একটি স্থানীয় উদ্ভিদ। হাজার বছর পূর্বেও গাঁজা-র ব্যবহার ছিল ভারতীয় উপমহাদেশে। যার প্রমাণ একাধিক প্রাচীন গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে। চিকিৎসার উপাদান হিসাবে ও নেশার দ্রব্য হিসাবে একে ব্যবহার করা সম্ভব। প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও গাঁজা-কে চিকিৎসার উপাদান হিসাবে দেখানো হয়েছে। সেখানে এই গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ-টিকে ব্যবহার করা হয়েছে ব্যথা নাশক ওষুধ নির্মাণে।


গাঁজা এখন বৈধ, এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে থাইল্যান্ডের ঘোষণা
Symbolic image – Image by Julia Teichmann from Pixabay

অনলাইন পেপার : বিশ্বের অধিকাংশ দেশে গাঁজা যখন অবৈধ, থাইল্যান্ডে ঘটল ঠিক তার উল্টো ঘটনা। এখানে গাঁজা-কে বৈধ করল সেদেশের সরকার। গত ২৫ জানুয়ারি বৈধ করার ঘোষণা করল থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল। তাঁর এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দেশটির মাদকদ্রব্যের তালিকা থেকে বাদ চলে গেল গাঁজা। থাইল্যান্ড-ই এশিয়ার প্রথম দেশ, যেখানে গাঁজা-কে বৈধতা দেওয়া হল।

গাঁজা দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার একটি স্থানীয় উদ্ভিদ। হাজার বছর পূর্বেও গাঁজা-র ব্যবহার ছিল ভারতীয় উপমহাদেশে। যার প্রমাণ একাধিক প্রাচীন গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে। চিকিৎসার উপাদান হিসাবে ও নেশার দ্রব্য হিসাবে একে ব্যবহার করা সম্ভব। প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও গাঁজা-কে চিকিৎসার উপাদান হিসাবে দেখানো হয়েছে। সেখানে এই গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ-টিকে ব্যবহার করা হয়েছে ব্যথা নাশক ওষুধ নির্মাণে।

এমনকি আধুনিক গবেষণাতেও এর উপকারিতার কথা জানা যায়। সম্প্রতি ফ্রান্সের বায়োমেডিকেল ইন্সটিটিউট-এ গবেষণা চালানোর সময় একদল বিজ্ঞানী জেনেছেন, গাঁজা থেকে যে ব্যথা নাশক ওষুধ তৈরি হবে, তার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকবে না। এমনকি অস্ত্রোপচারের সময় চেতনা নাশক ওষুধ তৈরিতেও গাঁজা ব্যবহার করা যেতে পারে।

অপরদিকে গাঁজা-কে নেশার দ্রব্য হিসাবেও ব্যবহার করেন অনেকে। এক্ষেত্রে গাঁজা-র বিপরীত গুণটিকেই তারা বেছে নিয়ে থাকেন। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গাঁজা দীর্ঘদিন ধরে নেশার দ্রব্য হিসাবে ব্যবহার করলে তার স্মরণশক্তি হ্রাস পেতে পারে। এমনকি তার মনোবৈকল্যও ঘটতে পারে। এছাড়াও গাঁজা-র এই অদ্ভুত গুণকে কাজে লাগিয়ে অত্যধিক ক্ষতিকারক বিভিন্ন নেশার দ্রব্যও তৈরি হয় বর্তমানে। তাই বিশ্বের অধিকাংশ দেশ গাঁজা-কে অবৈধ ঘোষণা করেছে।

থাইল্যান্ডের ভিমজাই পার্টির অন্যতম নেতা আনুতিন চার্নভিরাকুল দীর্ঘদিন থেকেই কৃষকদের কথা মাথায় রেখে গাঁজা-কে বৈধ করার জন্য লড়ছিলেন। এমনকি তিনি ২০১৯ সালের নির্বাচনের পূর্বে এবিষয়ে প্রচারও চালিয়েছেন। তাঁর পার্টি থাইল্যান্ডের জোট সরকারের অন্যতম শরীক দল।

যদিও কৃষকের স্বার্থে নতুন আইনে গাঁজা চাষ থাইল্যান্ডে বৈধ হলেও, বিনোদনমূলক কাজে বা ব্যক্তিগত সংগ্রহে গাঁজা সেদেশে বৈধ হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। তবে চিকিৎসাশাস্ত্রে গাঁজা-র ব্যবহার যে উন্মুক্ত করা হয়েছে, আনুতিন চার্নভিরাকুল-এর এই ঘোষণায় স্পষ্ট।

Advertisement
Previous articleআন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ভেঙে পড়তে পারে ২০৩১ সাল নাগাদ
Next articleLata Mangeshkar : অপূরণীয় ক্ষতি সঙ্গীত জগতে, অন্যলোকে সুর সম্রাজ্ঞী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here