Advertisement
অনলাইন পেপার : ইউরোপের ইতালি, স্পেন বা আমেরিকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটেছে সর্বাধিক মানুষের। কিন্তু বিশ্বে এমনও অনেক দেশ রয়েছে, যেখানে করোনা প্রবেশ করলেও মৃতের সংখ্যা একেবারেই শূন্য। এরকমই একটি দেশ এশিয়া মহাদেশের ভিয়েতনাম। দেশটিতে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২৬৮ জন। তার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৭৬ জন। কিন্তু মৃত্যু কোনওভাবেই ছুঁতে পারেনি এই দেশটির একজনকেও।
![]() |
ছবি : সংগৃহীত |
দেশটিতে করোনা সংক্রমণ যাতে কোনওভাবেই প্রভাব ফেলতে না পারে তার জন্য নেওয়া হয়েছে একাধিক উদ্যোগ। এটিএম থেকে চাল বিতরণ তারই একটি অনন্য উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা সিএনএন সূত্রে জানা গেল, করোনায় দেশের বহু মানুষের রোজগার এখন সম্পূর্ণ বন্ধ। তাদের বিনা মূল্যে চাল দেওয়ার জন্য এই নতুন পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সাধারণত এটিএম (Automated Teller Machine) বলতে বিশেষ ধরণের কার্ড প্রয়োগ করে প্রয়োজনীয় টাকা বের করার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রকে বোঝায়। কিন্তু ভিয়েতনামে করোনার এই দুঃসময়ে বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি এটিএম জাতীয় কিছু যন্ত্র দেশের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে বসানো হয়েছে। তার থেকে টাকার বদলে শুধুমাত্র বিনা মূল্যে চাল বের করা যাবে। তবে তার জন্যে গ্রাহকদের ২টি বিষয়কে অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে। চাল নেওয়ার সময় একে অপরের থেকে দূরত্ব রাখতে হবে অন্তত ৬ ফুট এবং এটিএম ব্যবহারের সময় অবশ্যই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
এমনিতেই ভিয়েতনামের প্রধান উৎপাদিত খাদ্যশস্য হল চাল। দেশটিতে প্রচুর পরিমাণে চাল উৎপাদন করা হয়। নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে প্রচুর চাল তারা বাইরের দেশে রপ্তানিও করে থাকে। প্রধান খাদ্যশস্য হিসাবে তাই চালের কোনও অভাব এখানে নেই বললেই চলে।
দেশটির বিশেষ কয়েকটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসানো হয়েছে শুধুমাত্র বিনামূল্যে চাল দেওয়ার জন্য এই এটিএম মেশিন। রাজধানী হেনয়-এ যে এটিএম-টি বসানো হয়েছে তা জনসাধারণের জন্য খুলে রাখা হয়েছে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এছাড়াও ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা থাকছে হো-চি-মিন শহরের বিশাল আকারের চাল বিতরণ করার এটিএম-টি। এই রকম আরও ২টি এটিএম ব্যবস্থা খুব শীঘ্রই চালু করার কথা আছে নঙ শহরেও।
ভিয়েতনাম করোনা মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দেশগুলির মধ্যে একটি। ক্রমশ এদেশে করোনায় আক্রান্তের গ্রাফ রেখা নিম্নগামী হতে শুরু করেছে। তার পাশাপাশি দেশের মানুষদের খাদ্যসংকট থেকে রক্ষা করার এই অভিনব উদ্যোগ দৃষ্টান্ত রেখে যাবে বিশ্বের কাছে।
Advertisement