Advertisement
সুজয় ঘোষাল : সবসময়ই বিজ্ঞানের আজনা বিষয়ের ওপর একটা আলাদা কৌতূহল থাকে ছাত্র-ছাত্রীদের। নিজেদের মধ্যে চাপা থাকা এই বিজ্ঞান বিষয়ক কৌতূহল নিরসনে তারা শুধুমাত্র পুঁথিগত চর্চায় সীমাবদ্ধ না থেকে বারংবারই ব্যবহারিক জ্ঞান পেতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। তাই ছাত্র–ছাত্রীদের এই বিজ্ঞান সচেতনতাবোধকে বৃদ্ধি করতে পুরুলিয়া জিলা বিজ্ঞান কেন্দ্রের সহায়তায় বীরভূমের কেন্দ্রডাঙাল হাই মাদ্রাসা স্কুল মাঠে গত ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ দিনের একটি ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছিল।
এই প্রদর্শনীতে আনা হয়েছিল বিজ্ঞান বিষয়ক মডেলে সজ্জিত একটি চলমান বাস। এই মডেলগুলির মাধ্যমে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের সুন্দরভাবে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল পরিমাপের বিভিন্ন কৌশলকে। যার মধ্যে ছিল হাইগ্রোমিটার ব্যবহার প্রণালী, কুতুবমিনারের উচ্চতা নির্ণয়, বৃত্তের ক্ষেত্রফল নির্ণয়, পাই-এর মান নির্ণয় প্রভৃতি। এছাড়াও বাসটিতে মডেল আকারে অভিকর্ষজ ত্বরণ, মাধ্যাকর্ষণ শক্তি, প্রতিবর্ত ক্রিয়া, শব্দ পরিমাপ ইত্যাদি বিষয়গুলি বোঝানোরও ব্যবস্থা ছিল। গত ২১ জানুয়ারি রাতের আকাশে পড়ুয়ারা যাতে সহজেই নক্ষত্রদের চিনতে পারে তার জন্য টেলিস্কোপেরও ব্যবস্থা ছিল। প্রদর্শনীর ৩ দিন ধরেই এই কেন্দ্রে ছাত্র–ছাত্রীদের ভিড় ছিল উপচে পড়া। তাদের আগ্রহও ছিল দেখার মতো। এতদিন যা তারা বইয়ের পাতায় দেখে এসেছে, এবার তারা হাতে কলমে পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছে বলে জানালো তারা।
পুরুলিয়া জিলা বিজ্ঞান কেন্দ্রের সায়েন্স কমিউনিকেটর রাহুল দত্ত জানালেন, এরকম প্রদর্শনের ব্যবস্থা করলে ছাত্র–ছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞান সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। তারা কৌতূহলীহবে অজানাকে জানার জন্য। তিনি আরও জানালেন, তাঁরা এই ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সমগ্র দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে করে থাকেন। কেন্দ্রডাঙাল হাই মাদ্রাসা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ রাকিবুল আলম বললেন, এই ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনের আয়োজন করতে পেরে তাঁরা খুশি। সেই সাথে তিনি আশা করছেন, ছাত্র–ছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞান সচেতনতার প্রসার ঘটাতে এই প্রদর্শনী বিশেষ সাহায্য করবে।
Advertisement