ঘটনাটি শুরু হয় গত বছরের এপ্রিল থেকে। ওই মাসের ৬ তারিখে তিনি প্রথমবারের জন্য বিয়ে করেন তাঁর স্ত্রীকে। সেই সঙ্গে বিবাহ সংক্রান্ত ছুটিও আদায় করে নেন তিনি। ছুটির দিন ফুরিয়ে যাওয়ার মধ্যেই স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে পুনরায় বিবাহের জন্য আবেদন করেন। বিবাহ সংক্রান্ত পরবর্তী ছুটিও তিনি পুনরায় পেয়ে যান কর্মক্ষেত্র থেকে। এইভাবে পরপর বিবাহ ও ডিভোর্স এর মাধ্যমে তিনি ছুটি আদায় করে নিয়েছেন ৩২ দিনের। |

অনলাইন পেপার : একঘেয়েমি কর্মজীবনে সর্বদা আবদ্ধ থাকতে কারোরই ভালো লাগার কথা নয়। তাই ছুটির দিনগুলিতে স্বল্পক্ষণের জন্যেও সেই একঘেয়েমি থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আর সীমিত ছুটি ছাড়াও অতিরিক্ত কিছু পাওয়া গেলে তো সোনায় সোহাগা আরকি! কর্মজীবনে এই অতিরিক্ত ছুটি পাওয়া অবশ্য ভাগ্যের ব্যাপার। তবে কথায় আছে, ‘বুদ্ধি থাকলে উপায় হয়’। চুল চেরা বিশ্লেষণ করে এমন বুদ্ধিকে ‘দুষ্টু বুদ্ধি’ বললেও কম বলা হবে।
এরকমই এক ‘দুষ্টু বুদ্ধির’ অধিকারী এখন তাইওয়ানের তাইপে শহরের এক ব্যাঙ্ক কর্মচারী। নিজের কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত ছুটি পেতে এক অভিনব উপায় বের করেছেন তিনি। এর জন্যে নিজের একই স্ত্রীকে বারংবার বিয়ে ও ডিভোর্স দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে তিনি তাঁর স্ত্রীকে ৪ বার বিয়ে করেছেন ও ৩ বার ডিভোর্স দিয়েছেন। অবশেষে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি ধরাও পড়ে যান। শেষবার ছুটির আবেদন করলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁকে ছুটি দিতে অস্বীকার করে। তবে ‘কুছ পরোয়া নেহি’। উলটে ছুটি না দেওয়ার অপরাধে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকেই গুনতে হয়েছে মোটা অঙ্কের জরিমানা।
আসলে ঘটনাটি শুরু হয় গত বছরের এপ্রিল থেকে। ওই মাসের ৬ তারিখে তিনি প্রথমবারের জন্য বিয়ে করেন তাঁর স্ত্রীকে। সেই সঙ্গে বিবাহ সংক্রান্ত ছুটিও আদায় করে নেন তিনি। ছুটির দিন ফুরিয়ে যাওয়ার মধ্যেই স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে পুনরায় বিবাহের জন্য আবেদন করেন। বিবাহ সংক্রান্ত পরবর্তী ছুটিও তিনি পুনরায় পেয়ে যান কর্মক্ষেত্র থেকে। এইভাবে পরপর বিবাহ ও ডিভোর্স এর মাধ্যমে তিনি ছুটি আদায় করে নিয়েছেন ৩২ দিনের।
তবে শেষবার বিবাহ সংক্রান্ত ছুটির আবেদন করতে গেলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কড়া নজরে আসেন তিনি। তাঁর এই কাণ্ডের কথা জানতে পেরে ছুটি দিতে অস্বীকার করে ব্যাঙ্ক। তখন ওই ব্যক্তি ছুটি না পেয়ে তাইপে সিটি লেবার ব্যুরোতে অভিযোগ জানান। তাইপে সিটি লেবার ব্যুরো ঘটনার তদন্ত করে উলটে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকেই ২০ হাজার তাইওয়ান মুদ্রা জরিমানা করে দেয়।
আসলে তাইওয়ানের আইনানুযায়ী, সেদেশের যে কোনও ব্যক্তি বৈবাহিক কালে বিবাহ সংক্রান্ত ৮ দিনের ছুটি পেতে বাধ্য থাকেন। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ শেষবার বিবাহ সংক্রান্ত ছুটি দিতে অস্বীকার করায় তাকে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়েছে।
তবে কি কারণে ওই ব্যক্তি এমন অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়েছেন? এব্যাপারে তিনি নিজেই জানিয়েছেন, বিবাহ সংক্রান্ত অতিরিক্ত ছুটির জন্য আবেদন করেও তিনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের থেকে কোনও সাড়া পাননি। তাই এমনটি ঘটাতে বাধ্য হয়েছেন।