Advertisement
অরবিন্দ মালি : মারণ ভাইরাস করোনা শুধুমাত্র হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েই সন্তুষ্ট হচ্ছে না, ভেঙে দিচ্ছে সারা পৃথিবীর অর্থনৈতিক পরিকাঠামোকেও। কিছুদিন আগেই আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন দাবি করেছিল, করোনার গরলে বেকার হয়ে যেতে পারে বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটিরও বেশি মানুষ।
ভারতও সেই থাবা থেকে মুক্ত হতে পারবে না। এই মুহূর্তে সমগ্র দেশ জুড়ে চলছে ‘লকডাউন’। করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশের সমস্ত মানুষই এখন গৃহবন্দি। আর তার ফলে এক বিশাল সংখ্যক মানুষ কর্মজীবন থেকে অনেক দূরে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে। ইতিমধ্যে চাকরীও হারাতে শুরু করেছে অনেকেই।
অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষদের বিপদ এই সময়ে এখন সবচেয়ে বেশি। তাদের মধ্যে অধিকাংশেরই জমানো অর্থ বলতে তেমন কিছুই নেই। অন্যের সাহায্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা ছাড়া তাদের আর কোনও উপায়ও বিশেষ নেই। তাদেরকে নিয়ে এখন চিন্তা সবচেয়ে বেশি।
যদিও এরকম অবস্থায় কিছু কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে নিজেদের সাধ্যমতো সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। নিজের এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে যথাসম্ভব ত্রাণ পৌঁছে দিতে অসম্ভব পরিশ্রম করে চলেছে এই সংগঠনগুলি।
বীরভূম জেলার ‘চিত্তহাট’ এরকমই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তারা সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে ‘লকডাউন’-এর এই দিনগুলিতে একাধিক খাদ্য সামগ্রী সহ আরও অন্যান্য দ্রব্যাদি তুলে দিচ্ছে অসহায় মানুষগুলির হাতে। সংগঠনটি বীরভূম জেলার রাজনগর, সিউড়ি ১ ও মহম্মদবাজার ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে পৌঁছে দিচ্ছে চাল, ডাল, আলু, তেল, সোয়াবিন, সাবান প্রভৃতি দৈনন্দিন সামগ্রীগুলি। আর সেই সঙ্গে মানুষের মধ্যে করোনা সম্পর্কিতসচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে।
‘চিত্তহাট’ সংগঠনটি এখনও পর্যন্ত ওই ৩টি ব্লকের ১০টি গ্রাম ও একটি পৌরসভা এলাকার ২৫০টিরও বেশি পরিবারের হাতে সাহায্য পৌঁছে দিতে পেরেছে। এ প্রসঙ্গে ‘চিত্তহাট’ জানাচ্ছে, “ভালবাসা ছড়িয়ে পড়ুক দিকে দিকে, করোনা নিপাত যাক”।
- All Rights Reserved
Advertisement