একাধিক বিশেষজ্ঞ আবার ওমিক্রন-কে ‘শাপে বর’ হিসাবে দেখতে চাইছেন। তাঁরা ডারউইনের একটা প্রাকৃতিক সূত্র উল্লেখ করে জানাচ্ছেন, ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা যদি অতিমাত্রিক হয়, তবে তা সমাজে ছড়িয়ে পড়ে কম। কিন্তু যার মারণ ক্ষমতা কম বা প্রায় নেই বললেই চলে সমাজে সে ছড়িয়ে পড়ে অনেক বেশি। এদের মারণ ক্ষমতা কম হওয়ায় ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার সুযোগ তৈরি হয় অনেক বেশি।

অনলাইন পেপার : আগামী জুলাইয়ের মধ্যে বিশ্বের প্রতিটি দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে যদি টিকা দেওয়া যায়, তবে ওই জুলাই থেকেই করোনা মহামারির বিনাশ শুরু হতে পারে, সম্প্রতি একটি টুইট বার্তায় এমনটিই জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু (WHO)-এর বর্তমান মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস। এর পাশাপাশি তিনি ধনী দেশগুলিকে দরিদ্র দেশগুলিকে টিকা সরবরাহের ব্যাপারে সহযোগিতা করার কথাও জানালেন।
এমনিতেই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বিশ্ব জুড়ে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। সারা বিশ্ব জুড়েই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি এখন সমগ্র বিশ্বেই নিজের আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে। অত্যন্ত অবিশ্বাস্য গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভ্যারিয়েন্টটি। তবু আশার কথা অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও এর মারণ ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কম।
ইতিমধ্যে ভারতেও ওমিক্রন যথেষ্ট শক্ত ঘাটি তৈরি করতে শুরু করেছে। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর এদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার যেখানে দৈনিক হার ছিল মাত্র ৯ হাজারের কিছু বেশি। ৫ জানুয়ারি সেই সংখ্যা এক ধাক্কায় পৌঁছে গিয়েছে দৈনিক আক্রান্তের হার হিসাবে ৯০ হাজারের উপর। শুধু ভারত নয়, সমগ্র বিশ্ব জুড়েই এখন এই একই পরিস্থিতি।
তবে বিশেষজ্ঞের দাবি, তৃতীয় ঢেউয়ে করোনা সংক্রমণ যতটা দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে, এর মারণ ক্ষমতা সে তুলনায় অনেকটাই কম। তাই বৃথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ বিশেষজ্ঞরা দেখছেন না। তবে সাবধান হওয়ার কথা জানাচ্ছেন বারংবার।
একাধিক বিশেষজ্ঞ আবার ওমিক্রন-কে ‘শাপে বর’ হিসাবে দেখতে চাইছেন। তাঁরা ডারউইনের একটা প্রাকৃতিক সূত্র উল্লেখ করে জানাচ্ছেন, ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা যদি অতিমাত্রিক হয়, তবে তা সমাজে ছড়িয়ে পড়ে কম। কিন্তু যার মারণ ক্ষমতা কম বা প্রায় নেই বললেই চলে সমাজে সে ছড়িয়ে পড়ে অনেক বেশি। এদের মারণ ক্ষমতা কম হওয়ায় ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার সুযোগ তৈরি হয় অনেক বেশি। ওই বিশেষজ্ঞদের দাবি, এক্ষেত্রে ওমিক্রন করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার পথ অনেকটাই প্রশস্ত করে দিচ্ছে।
হু-র মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস জানাচ্ছেন, ধনী দেশগুলি ইতিমধ্যেই তাদের দেশে টিকাকরণ-এর দুটি ডোজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে। তারা এবার ‘বুস্টার ডোজ’ এর দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু বহু দরিদ্র দেশ এখনও তাদের দেশে টিকাকরণ শেষ করতে পারেনি। ধনী দেশগুলিকে তাদেরকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। যদি আগামী জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিটি দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়, তবে করোনা মহামারির সমাপ্তি ঘটতে পারবে।