Advertisement
সৌম্যদীপ্ত বোস : করোনা আশঙ্কায় বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব স্থগিত হয়ে যায়। তা সত্ত্বেও উৎসব পালন হয়েছে বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনে। উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে ওই ভবনের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী।
ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে প্রকৃতি তার রঙের ছটায় নিজেকে সাজিয়ে তোলে নতুন রূপে। প্রকৃতির গতানুগতিক স্রোতে আঘাত হানে নবীন বসন্তের রঙিন জোয়ার। আর সেই সঙ্গে একেবারে নতুন সাজে নতুন রূপে হাজির হয় শান্তিনিকেতন। কবিপুত্র শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে যে উৎসব একদিন শুরু হয়েছিল এই শান্তিনিকেতনের আঙিনায়, আজ তা বাঙালির কাছে বসন্তের শ্রেষ্ঠ ঠিকানা।
বর্তমানে প্রায় প্রতি বছরই এই বসন্ত উৎসবে শান্তিনিকেতনে অসংখ্য বহিরাগতের আবির্ভাব ঘটে। কিন্তু এবছর ‘অধিক জমায়েত করোনা ছড়াতে পারে’ আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশে ও বিশ্বভারতীর সিদ্ধান্তে বাতিল ঘোষণা করা হয় বসন্ত উৎসব।
কিন্তু বসন্ত আর প্রকৃতির এই অমোঘ বন্ধনকে ছিন্ন করবার সাধ্যি কার আছে? ফলত বর্ণহীন এবছরের বসন্তকে শুধুমাত্র সুরের মাধ্যমে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় সঙ্গীত ভবন। অধ্যাপক শুভ্রায়ু সেন মজুমদারের পরিচালনায় এবং বিশ্বভারতীর বিভিন্ন বিভাগের সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ৮ মার্চ মঞ্চস্থ হয় এই অনুষ্ঠানটি।
যদিও এটি প্রথম বছর নয়, এর আগে ২০১৭ সালেও সমধর্মী এক বসন্ত বন্দনার আয়োজন করেছিল সঙ্গীত ভবন। সুরের এই বন্দনার মূল অংশ জুড়ে ছিল যন্ত্রসঙ্গীত, গিটার, তবলা, এসরাজ থেকে শুরু করে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাদি।
সঙ্গীত ভবনের শিক্ষার্থী মৈত্রী মুখোপাধ্যায় জানালেন, যেহেতু বিগত এক মাসের রিহার্সালের পরে হঠাৎ করে বসন্ত উৎসব স্থগিত করা হয়েছে, ফলে ছাত্র–ছাত্রী থেকে অধ্যাপক সকলেই প্রায় ভেঙে পড়েছিলেন। তাই হয়তোরঙে রঙে না হলেও সুরের ধারায় বসন্তকে বরণ করার আমাদের এই প্রয়াস যথার্থই তাৎপর্যবাহী।
Advertisement