কর্মহারা দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ালো সিনি এবং ওরাকেল। এই দুই সংস্থা যৌথভাবে ২৮ জানুয়ারি বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া ব্লকের অমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইকরা গ্রামের ইকড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেলা ১০টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ২৫০ জন দুঃস্থ মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রী ও স্যানিটেশন কিট তুলে দিল। দুঃস্থ মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল সোয়াবিন, ডালিয়া, মুসুর ডাল, সর্ষের তেল এবং স্যানিটেশন কিটের মধ্যে ছিল সাবান, টুথপেস্ট, মাস্ক প্রভৃতি। – ছবি : জনদর্পণ প্রতিনিধি |

সুজয় ঘোষাল : জানুয়ারির প্রথম থেকেই পশ্চিমবঙ্গে কোভিড ১৯ সংক্রমণের গ্রাফ প্রায় নিম্নমুখী। তার উপর এ রাজ্যে ভ্যাকসিন ঢোকার পর আরও কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে রাজ্যবাসী। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে ছন্দ। তবে করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে চলা লকডাউন-এর প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষের জীবনযাত্রা। যার ক্ষত আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন ওই মানুষগুলি। কর্মক্ষেত্র হারিয়ে এখন প্রায় বাড়িতেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
এবার এই কর্মহারা দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ালো সিনি এবং ওরাকেল। এই দুই সংস্থা যৌথভাবে ২৮ জানুয়ারি বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া ব্লকের অমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইকরা গ্রামের ইকড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেলা ১০টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ২৫০ জন দুঃস্থ মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রী ও স্যানিটেশন কিট তুলে দিল।
সিনি লকডাউনের প্রথমদিন থেকেই বিভিন্নভাবে মানুষদের যেমন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতন করেছে, তেমনি মানুষের কাছে যথাসম্ভব খাদ্য সামগ্রীও পৌঁছে দিয়েছে। এদিন ছিল তারই একটি বিশেষ অঙ্গ। দুঃস্থ মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল সোয়াবিন, ডালিয়া, মুসুর ডাল, সর্ষের তেল এবং স্যানিটেশন কিটের মধ্যে ছিল সাবান, টুথপেস্ট, মাস্ক প্রভৃতি।
এদিনের সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইকড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাদাশিব চট্টোপাধ্যায়, ইকড়া পল্লী মঙ্গল সমিতির সম্পাদক সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও অনেকেই। সিনির অন্যতম সদস্য কুন্তল চট্টোপাধ্যায় ও দিনেশ দাস জানালেন, এদিন খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার পাশাপাশি তাঁরা ওই সমস্ত দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষকে পরিষ্কার-পরিছন্নতা অবলম্বন করা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া কেন প্রয়োজন সে বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে। এছাড়াও তাঁরা আরও জানালেন, তাঁদের সংস্থা প্রায় সারা বছরই জেলার বিভিন্ন অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র ও প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে ‘পুষ্টিবাগান’ তৈরি করতে উদ্যোগ গ্রহণ করে।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়, সিনি একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যারা শিশু, কিশোর-কিশোরী, মাতৃকালীন স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে থাকে।