গত বছরের মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় আত্মপ্রকাশ ঘটে করোনার ‘বিটা’ ধরণের। এই ধরনটি পরে ১৩৬টি দেশে ছড়িয়ে পরে। তবে সবচেয়ে বেশি দেশে ছড়িয়েছে ‘আলফা’ ধরণ। গত বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনার এই রূপান্তরিত ধরণ ‘আলফা’ শনাক্ত করা হয়। পরে এটি ১৮৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ‘গামা’ ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয় ব্রাজিলে গত বছরের নভেম্বরে। যদিও এই ধরনটি এখনও পর্যন্ত ৮১টি দেশে ছড়িয়ে পড়তে পেরেছে। |

অনলাইন পেপার : দীর্ঘ দেড় বছরে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের যে যথেষ্ট উন্নতি ঘটেনি, তা ওয়ার্ল্ডোমিটার সূত্র লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারা যাবে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ব্রাজিল সহ আরও কয়েকটি দেশে সংক্রমণের হার প্রতি নিয়তই বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে ২০ কোটি ৬২ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গিয়েছে প্রায় ৪৩ লক্ষ ৪৮ হাজার মানুষ। তবে সুস্থতার হারও নেহাত কম নয়, সমগ্র বিশ্ব জুড়ে এই সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৮ কোটি ৫০ লক্ষ ৮২ হাজার জন।
‘হু’ এর তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে এই মারণ ভাইরাসের ৯টি ধরণ আবিস্কৃত হয়েছে। অর্থাৎ করোনা নিজেকে ৯টি ধরণে রূপান্তরিত করে ফেলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার মধ্যে ৪টি ধরণ (ডেলটা, বিটা, আলফা ও গামা) সবচেয়ে বেশি সংক্রামক। বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই এই ৪টি ধরণ সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। আর এদের মধ্যে ‘ডেলটা’ ধরণকে সবচেয়ে বেশি বিপদজনক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি ‘হু’ এর মতে ডেলটা ধরণ এতটাই বিপদজনক, অনেক ক্ষেত্রে আবিস্কৃত টিকাও এখানে কাজ করতে পারছে না। এছাড়াও রোগীর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অনেক বেশি ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে করোনার ডেলটা চিকিৎসা ব্যবস্থায়।
দেড় বছর আগে চিন থেকে ছড়িয়ে পড়ার সময় করোনার একটিই বিপদজনক ধরণ লক্ষ্য করা গিয়েছিল। বৈজ্ঞানিক মহলে তখন তার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘সার্স-কোভ-২’। পরে ধীরে ধীরে এর রূপান্তর ঘটতে থাকে। এবং সেই সঙ্গে এর সংক্রামক ক্ষমতাও বাড়তে থাকে। গত বছরের মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় আত্মপ্রকাশ ঘটে করোনার ‘বিটা’ ধরণের। এই ধরনটি পরে ১৩৬টি দেশে ছড়িয়ে পরে। তবে সবচেয়ে বেশি দেশে ছড়িয়েছে ‘আলফা’ ধরণ। গত বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনার এই রূপান্তরিত ধরণ ‘আলফা’ শনাক্ত করা হয়। পরে এটি ১৮৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ‘গামা’ ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয় ব্রাজিলে গত বছরের নভেম্বরে। যদিও এই ধরনটি এখনও পর্যন্ত ৮১টি দেশে ছড়িয়ে পড়তে পেরেছে।
তবে সবচেয়ে বিপদজনক ধরণ ‘ডেলটা’-র আত্মপ্রকাশ ঘটে ভারতে। আর আত্মপ্রকাশের মাত্র ৯ মাসের মধ্যেই এটি ১৪২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে করোনা সংক্রমণের হার যখন যথেষ্ট নিম্নমুখী, তখনই ডেলটার আঘাতে সংক্রমণের হার ফের ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। সিএনবিসি সংবাদ মাধ্যম সূত্র অনুযায়ী, শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডেলটায় আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে ২ লক্ষ ৮ হাজারেরও বেশি।