এবার হলুদ প্রজাপতির আতঙ্কে বাংলাদেশের গ্রাম

Advertisement
lop
অনলাইন পেপার : বাংলাদেশে করোনা আতঙ্কের মধ্যেই এবার নতুন আতঙ্ক ছড়িয়েছে হলুদ প্রজাপতি নিয়ে। ঘটনাটি ঘটে সে দেশের নওগাঁ উপজেলার ধামইরহাট অঞ্চলে। ঝাঁক বেঁধে উড়ে চলা এক বিরল প্রজাতির হলুদ প্রজাপতি দেখে ওই অঞ্চলের মানুষ পঙ্গপাল ভাবতে শুরু করে। আর তাতেই বিভ্রান্তি ছড়ায় এলাকা জুড়ে। এলাকাবাসীর দাবি, অদ্ভুত আকারের ওই হলুদ প্রজাপতি সাদৃশ্য পতঙ্গগুলি এসেছে ভারতের সীমান্ত ছাড়িয়ে।
     বাংলাদেশের দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইন সংস্করণের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নওগাঁ উপজেলার খরমপুর গ্রামের এক বাসিন্দা ২১ এপ্রিল বিকালের দিকে দেখতে পান ঝাঁক বেঁধে কীটপতঙ্গ উড়ে আসতে। তাঁর ধারণা ওই কীটপতঙ্গ পার্শ্ববর্তী ভারতের দিক থেকেই উড়ে এসেছে। সেগুলির সঙ্গে হলুদ প্রজাপতির মিল রয়েছে। হলুদের সঙ্গে সাদা রঙের উপস্থিতিও রয়েছে। কিন্তু ওই জাতের পতঙ্গ আগে কখনও দেখা যায়নি বলেও তিনি বলেন। পতঙ্গের এক-একটি ঝাঁকে ১০-১৫টি করে পতঙ্গ ছিল বলে ধারণা ওই ব্যক্তির। এর আগে বাংলাদেশে পঙ্গপাল ধেয়ে আসার একটি খবর ছিল তাঁর কাছে। আর তাতেই বিভ্রান্তি তৈরি হয় তাঁর। ফসল ক্ষতিকারক পঙ্গপালের সঙ্গে হলুদ প্রজাপতিকে গুলিয়ে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে ওই গ্রামে।
     তবে ওই উপজেলার কৃষিবিদ জানিয়েছেন, ওই পতঙ্গগুলি আসলে পঙ্গপাল নয়। সেগুলি প্রজাপতিরই একটি প্রজাতি। তাই ভয়ের কোনও কারণ নেই।
     ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্থান পেরিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল আসতে শুরু করেছিল ভারতের পাঞ্জাবে। তাতে কিছুটা ভয়ের সঞ্চয় হয়েছিল পাঞ্জাব ও তার পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে। কারণ ঝাঁক বেঁধে পঙ্গপাল যদি একবার চাষের জমিতে আক্রমণ শুরু করে, তাহলে ফসল বাঁচানো বেশ মুশকিলই হয়ে পড়ে। গত বছরের শেষের দিকে ওই একই কারণে বেশ ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে আফ্রিকার সোমালিয়া, কেনিয়া, ইথিওপিয়াকে। চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্থানেও বেশ তাণ্ডব চালিয়েছে পঙ্গপাল।
     তবে বঙ্গদেশে ওই পঙ্গপালের দল আসবে কিনা তা সঠিকভাবে জানাতে পারেনি কৃষিদফতর। কারণ পঙ্গপাল সাধারণত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের পতঙ্গ। তাদের যাওয়া আসা নির্ভর করে বাতাসের শুষ্কতার ওপর। তাছাড়া ওই পঙ্গপালের দল বঙ্গদেশে আক্রমণ করতে এলেও এবছরে তা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছিল বেশ কয়েকজন কৃষি বিজ্ঞানী। তাছাড়া গত ৫৫ বছরে কোনও পঙ্গপালের আক্রমণ হয়নি বঙ্গদেশে। তবে আক্রমণ করলে তার ফল যে মারাত্মক হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এক-একটি দল প্রায় ১২০ মাইল অঞ্চল পর্যন্ত ফসল খাওয়ার ক্ষমতা রাখে।
Advertisement
Previous articleইগনাজের দেখানো পথ ধরে হাঁটছে বর্তমান পৃথিবী
Next articleবয়সের ভারে আর দৃষ্টিহীন হবে না কেউ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here