ফারো দ্বীপপুঞ্জটিতে মোট দ্বীপের সংখ্যা ১৮টি। এদের মধ্যে স্ট্রেময় ও আইস্টুরয়-এর দূরত্ব ১১ কিলোমিটার। বিবিসি সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী এই দুই অঞ্চলকে যুক্ত করতে সমুদ্রের তলা দিয়ে টানেলটি তৈরি করা হয়েছে। টানেলটি যুক্ত করেছে টোসাও ও রুনাভিক শহর দুটিকে। সূত্রে জানা গিয়েছে, টোসাও থেকে রুনাভিক যেতে আগে সময় লাগত প্রায় ১ ঘণ্টা ১৪ মিনিটের মতো। নতুন টানেল তৈরি হওয়ায় ওই দূরত্ব অতিক্রম করতে এখন থেকে সময় লাগবে মাত্র ১৬ মিনিট। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘আইস্টুরয় টানেল’। |

অনলাইন পেপার : সু-উচ্চ পাহাড় ফাটিয়ে বা নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল তৈরি করার ঘটনা আগে অনেকবার ঘটেছে। বিশ্বের অনেক দেশই সময় বাঁচাতে এই পদ্ধতিতে রাস্তা তৈরি করে থাকে। এটা এখন এমন কিছু কঠিন ব্যাপার নয়। শুধু খরচ সাপেক্ষ মাত্র। তবু কম সময়ে ঘুর-পথ এড়িয়ে যেতে এর থেকে ভালো উপায়ও বেছে নেওয়া মুশকিল। তবে এবার বিশ্বকে চমকে দিয়ে সমুদ্রের তলদেশ পথে গাড়ি ছোটাতে চলেছে ফারো দ্বীপপুঞ্জ। তার জন্য তৈরি হয়েছে ১১ কিলোমিটারের দীর্ঘ একটি টানেল। এই পথে যাতায়াতে প্রায় ১ ঘণ্টা সময় কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আটলান্টিক মহাসাগর ও নরওয়েজিয় সাগরের মধ্যবর্তী ১৮টি ছোট-বড় দ্বীপ নিয়ে গঠিত হয়েছে এই ফারো দ্বীপপুঞ্জ। স্থানটির দূরত্ব স্কটল্যান্ড থেকে ৩২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। বর্তমানে এই দ্বীপপুঞ্জটি ডেনমার্কের স্বায়ত্বশাসিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ১৮১৪ সালের ‘কিল’ চুক্তির আগে পর্যন্ত অবশ্য সমুদ্র বেষ্টিত এই অঞ্চলটি নরওয়ের অন্তর্গত ছিল। ফারো দ্বীপপুঞ্জের আয়তন প্রায় ১৪০০ বর্গকিলোমিটার। ২০১৭ সালের গণনা অনুযায়ী এখানকার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজারের মতো।
ফারো দ্বীপপুঞ্জ উচ্চ অক্ষাংশে অবস্থান করার জন্য এখানকার তাপমাত্রা হিমাংকের নিচে থাকাটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু সমুদ্র বেষ্টিত হওয়ায় তাপমাত্রা সবসময়ই হিমাংকের উপরেই থাকে। তবে আবহাওয়া এখানে প্রায় সারা বছরের জন্যই মেঘাচ্ছন্ন, আর্দ্র আর শীতল। ভূ-প্রকৃতিও অত্যন্ত রুক্ষ।
দ্বীপপুঞ্জটিতে মোট দ্বীপের সংখ্যা ১৮টি। এদের মধ্যে স্ট্রেময় ও আইস্টুরয় এর দূরত্ব ১১ কিলোমিটার। বিবিসি সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী এই দুই অঞ্চলকে যুক্ত করতে সমুদ্রের তলা দিয়ে টানেলটি তৈরি করা হয়েছে। টানেলটি যুক্ত করেছে টোসাও ও রুনাভিক শহর দুটিকে। সূত্রে জানা গিয়েছে, টোসাও থেকে রুনাভিক যেতে আগে সময় লাগত প্রায় ১ ঘণ্টা ১৪ মিনিটের মতো। নতুন টানেল তৈরি হওয়ায় ওই দূরত্ব অতিক্রম করতে এখন থেকে সময় লাগবে মাত্র ১৬ মিনিট। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘আইস্টুরয় টানেল’।
সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ ডিসেম্বর টানেলটির মধ্য দিয়ে প্রথমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গাড়ি চালানো হবে। পরে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১৯ ডিসেম্বর থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এই ‘আইস্টুরয় টানেল’। কিন্তু বিনামূল্যে টানেল পথে যাতায়াত করা যাবে না। দিতে হবে রীতিমতো টোলট্যাক্স। জানা গিয়েছে, প্রতিবার যাতায়াতের জন্য খরচ করতে হতে পারে প্রায় ৯.১০ পাউণ্ড। তবে বারংবার যাতায়াতের জন্য গ্রাহক হওয়ার সুবিধাও থাকবে। সেক্ষেত্রে আশ্রয় হতে পারে এই খরচ।