এবার শান্তিনিকেতনের আদলে বসন্ত উৎসব হবে বাহিরীতে, চলছে মহড়া

Advertisement
bahri
চিরন্তন দাস : শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবের কথা শোনেনি এমন মানুষ বোধহয় হাতে গোনা কয়েকজনই পাওয়া যাবে। সেখানে যে দারুণ উৎসাহে ও উৎফুল্লে এই বসন্ত উৎসব পালন করা হয়, তা বিশ্ব বন্দিত। বহু দূর-দূরান্ত থেকে এই উৎসবে সামিল হতে ছুটে আসেন পর্যটকেরা। বীরভূমের প্রিয় উৎসবের মধ্যে শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার পরই বসন্ত উৎসবের নাম চলে আসে। এ উৎসব এক সময়ে শান্তিনিকেতনের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। যা এখন সমগ্র রাঢ় বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসবের একটিতে পরিণত হয়েছে।
     যদিও শান্তিনিকেতনের এই বসন্ত উৎসবে গত কয়েক বছর ধরে অতিরিক্ত লোকসমাগম ঘটছে। ফলে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে ইতিমধ্যে। তাই এবছর সেখানকার বসন্ত উৎসবে বহিরাগতরা সামিল হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছিল অনিশ্চয়তা। এমনকি দোলের নির্দিষ্ট দিনের পূর্বেই এই বসন্ত উৎসব পালনের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করা হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনেই পালন করা হবে বসন্ত উৎসব। সেই উৎসব হবে মেলার মাঠে। এবং এ ব্যাপারে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকার।
     তবে এবছর শান্তিনিকেতনের অদূরে বাহিরী গ্রামে নতুন করে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বসন্ত উৎসব পালনের। ঠিক যেমনটি হয়ে থাকে শান্তিনিকেতনে। উদ্যোগ নিয়েছে ‘বাহিরী বসন্ত উৎসব কমিটি’। তাদের দাবি, এ উৎসব অনেকটা শান্তিনিকেতনের আদলেই অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবের দিনও স্থির করা হয়েছে ওই একই দিনে (৯ মার্চ)। তবে উৎসবের সূচনা হবে তার আগের দিন, অর্থাৎ ৮ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় বাহিরী ব্রজসুন্দরী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এখন তার জন্যে নিয়মিত চলছে মহড়া। মহড়ায় অংশগ্রহণ করছে ওই এলাকারই একদল কচিকাঁচা।
     মূল বসন্ত উৎসব শুরু হবে ৯ মার্চ সকাল ৬টায় প্রভাত ফেরীর মাধ্যমে। তারপর সকাল ৭টায় বিভিন্ন শিল্পীদের দ্বারা অনুষ্ঠিত হবে বসন্তের নাচ ও গান। উৎসবে সামিল হতে প্রধান অতিথি হিসাবে আহ্বান জানানো হয়েছে এসআরডিএ-এর চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল-কে। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। এছাড়া উপস্থিত থাকবে বীরভূম জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ, বীরভূম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি সুদীপ্ত ঘোষ, বাহিরী-পাঁচশোয়া গ্রাম-পঞ্চায়েত প্রধান শুভঙ্কর সাধু। এদিনের বসন্ত উৎসব চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। যে কেউ এই উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে জানাচ্ছেন কমিটির সদস্যরা।
Advertisement
Previous articleদিল্লি আজ এক রাষ্ট্রীয় লজ্জা, তবে এই দিল্লিই এক মানবিক শ্লাঘা
Next articleসম্প্রীতির সেতুবন্ধন গড়তে ‘অকাল রাখিবন্ধন’ সিউড়িতে

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here