বোলপুর সংলগ্ন দুঃস্থ পথ শিশুদের পাশে দাঁড়াল এবার বোলপুরের ওই একদল স্কুল ছাত্রী। টুংটাং গিটারের সুরে, ডুগি আর ঝুমুরের তালে তাদের উঠতি ব্যান্ড ‘এক পশলা আড্ডা’-ই ভর করে তারা বেরিয়ে পড়ল পথে। গান গেয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিল নিজেদের নির্দিষ্ট বার্তা। পথ চলতি মানুষেরাও সাড়া দিল তাদের এই উদ্যোগে। নিজের সমর্থ অনুযায়ী অর্থ তুলে দিল তাদের হাতে। – ছবি : জনদর্পণ প্রতিনিধি |

জনদর্পণ ডেস্ক : বোলপুর, শ্যামবাটি, শান্তিনিকেতন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৫-৬ জন স্কুল ছাত্রী। বয়স তাদের ১৫-১৬ বছর। এদের কেউবা দেবে মাধ্যমিক, আবার কেউবা উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী। দু’চোখে এক রাশ স্বপ্ন নিয়ে, দুরন্ত এক আশায় ভর করে এরাই এখন ছুটে চলেছে সমগ্র বোলপুর সংলগ্ন অঞ্চল জুড়ে।
এমনিতেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সাময়িক লকডাউন চলছে সমগ্র বঙ্গদেশ জুড়ে। এর আগেও গত বছর দীর্ঘ সময় ধরে সমগ্র দেশ জুড়ে চলেছিল পূর্ণ লকডাউন। তাই সাধারণ মানুষের রোজগার এখন তলানিতে। বিশেষ করে প্রান্তিক মানুষগুলির অবস্থা এখন সবচেয়ে করুণ। ঠিক এই পরিস্থিতিতে কেমন আছে পথ শিশুরা? রোগ প্রতিরোধ করার মতো উপযুক্ত পুষ্টিকর আহার কি আদৌ পাচ্ছে তারা?
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউও আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে শিশুদের। তাই শিশুদের নিয়েই এখন বেশি চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।
বোলপুর সংলগ্ন দুঃস্থ পথ শিশুদের পাশে দাঁড়াল এবার বোলপুরের ওই একদল স্কুল ছাত্রী। টুংটাং গিটারের সুরে, ডুগি আর ঝুমুরের তালে তাদের উঠতি ব্যান্ড ‘এক পশলা আড্ডা’-ই ভর করে তারা বেরিয়ে পড়ল পথে। গান গেয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিল নিজেদের নির্দিষ্ট বার্তা। পথ চলতি মানুষেরাও সাড়া দিল তাদের এই উদ্যোগে। নিজের সমর্থ অনুযায়ী অর্থ তুলে দিল তাদের হাতে।

স্বপ্নজা, ঐশী, মেঘনা, বর্ষা, বৈশাখী, অহনা-রা এখন তাই চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। ৪ ও ৫ জুন তারা গান গেয়ে সংগ্রহ করে ফেলে বেশ কিছু অর্থ। আর তা দিয়েই ৬ জুন প্রায় ৬০ জন দুঃস্থ পথ শিশুকে তুলে দিল পুষ্টিকর খাবারের প্যাকেট সহ সাবান ও মাস্ক।
জুনের প্রখর রৌদ্রে গলদঘর্ম অবস্থা ও করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে তাদের এই পরিশ্রমের ফল কি হল জানতে চাওয়ায় ওই স্কুল ছাত্রীরা জানাল, ‘শিশুদের হাসিমুখ দেখেই সব পরিশ্রম সার্থক হয়ে গেল। আর ভালো কিছু করতে পরিশ্রম তো করতেই হবে।’
পথ শিশুদের কি দিয়ে সাহায্য করল তারা, জানতে চাওয়াতে তারা জানাল, পুষ্টিকর খাবারের প্যাকেটে ছিল পাউরুটি, ডিম, হরলিক্স, হরলিক্স বিস্কুট, দুধের প্যাকেট, কলা। এছাড়াও তাদের আরও দেওয়া হয় সাবান ও মাস্ক।