Advertisement
বিজয় ঘোষাল : যে কোনও ভাষার প্রসারে নাটকের আবদান অস্বীকার করা যায় না। আবার এও বলা যায়, সেই ভাষা ব্যবহারকারীদের নিজস্ব কৃষ্টি ও সাংষ্কৃতিক চর্চার অন্যতম মাধ্যম হল নাটক। রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব বলছিলেন, নাটকের মাধ্যমে লোকশিক্ষা হয়। তাই সামজ ও শিক্ষা প্রসারে নাটক অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে আসছে আদি অনন্ত কাল ধরে।
এই ভাবনাকে পাথেয় করে গত ১৮ জানুয়ারি সাঁইথিয়া ব্লকের ব্যবস্থাপনায় পশ্চিমবঙ্গের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগের উদ্যোগে আমোদপুর জয়দূর্গা উচ্চবিদ্যালয় প্রঙ্গাণে অনুষ্ঠিত হল বীরভূম ও মূর্শিদাবাদ আঞ্চলিক পর্যায়ের আদিবাসী ভাষায় ২৫তম একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা। এদিন এই একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দশটি নাট্যগোষ্ঠী।
নাট্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলার ভারপ্রাপ্ত জেলাসভাধিপতি নন্দেশ্বর মন্ডল, সাঁইথিয়া ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শ্রীমতি স্বাতী দও মুখোপাধ্যায় ও যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বংশীবদন মুরমু। বংশীবদন মুরমু জানালেন, বর্তমানে বহু আদিবাসী ভাষা, কৃষ্টি প্রায় বিলুপ্তির পথে, তাই সেই লোকরীতি পুনঃজাগরণের জন্য এই প্রচেষ্টা।
এদিনের এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে খেরওয়াল উলুম গাঁওতা, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে বাকজুলু গয়ান গাঁওতা ও যুগ্মভাবে তৃতীয় স্থান অধিকার করে লিলিবিছি আখড়া ও মাহালী আদিবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। লিলিবিছি আখড়ার সদস্য সুভাষচন্দ্র মুরমু জানালেন, তাঁরা তাঁদেরনাটকের মাধ্যমে সাঁওতালী কুসংষ্কার ও কুপ্রথা থেকে বেরিয়ে এসে সমাজসচেনতার একটা মূল্যবান বার্তা দেওয়ার প্রয়াস চালিয়েছেন এদিন।
Advertisement