Advertisement
প্রকৃতির মাঝে কখনও সখনও অপ্রাকৃত ঘটনার জন্ম হয়ে থাকে। এদিন যেমন শেরপুরে জন্ম নিল একটি বিরল আকৃতির বাছুর। তিনটি চোখ, চারটি মুখ গহ্বর নিয়ে জন্মানো ওই বাছুরটিকে দেখতে বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকা জুড়ে। (ছবি ও ভিডিও : পল মৈত্র)
|
পল মৈত্র : বিচিত্র এই বিশ্বে কত কিছুই না অবাক করা ঘটনা ঘটে থাকে বিভিন্ন সময়ে। অনেক ক্ষেত্রে তার সঠিক উত্তর দিতে পারেন না কেউই। বিজ্ঞান অবশ্য চেষ্টা করে তার ব্যাখ্যা খুঁজতে। এক সময়ে অপ্রাকৃত কিছু ঘটলেই মানুষ সেটাকে দৈব ঘটনা বলে মনে করত। কিন্তু বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে কোনও ঘটনায় আর প্রায় অপ্রাকৃত নয়। সব ঘটনারই প্রকৃত ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
এবার সেরকমই একটি ঘটনার খোঁজ পাওয়া গেল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের শেরপুর এলাকায়। ওই এলাকার বাসিন্দা প্রহ্লাদ সরকারের বাড়িতে একটি বিরল আকৃতির বাছুরের জন্ম নিল ২৫ মে রাতে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, বাছুরটি জন্ম নিয়েছে তিনটি চোখ, চারটি মুখ গহ্বর, দুটি জিহ্বা ও চারটি নাসারন্ধ নিয়ে। বিরল আকৃতির ওই বাছুরটি জন্ম নেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় বেশ হইচই পড়ে যায়। ২৬ মে সকাল থেকেই বাছুরটিকে দেখতে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত উৎসুক মানুষ ছুটে যান প্রহ্লাদ সরকারের বাড়িতে।
এলাকাবাসীরা জানালেন, বাছুরটির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি স্বাভাবিক আকারের না হওয়ার ফলে জন্মের পর থেকেই মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারছে না সে। এমনকি স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতেও অসুবিধা হচ্ছে বাছুরটির।
সমাজে অপ্রাকৃত কিছু ঘটলেই তার সঙ্গে দৈব ঘটনার তুলনা টানা হয়, বহু যুগ ধরেই এমনটাই ঘটে আসছে ভারতীয় উপমহাদেশে। এই বাছুরটির ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটতে দেখা গেল এদিন। এলাকার কিছু ধর্মপ্রাণ মানুষ ইতিমধ্যেই বিরল আকৃতির বাছুরটির জন্মের পিছনে ঐশ্বরিক কারণকেই দায়ী।
যদিও চিকিৎসা শাস্ত্র বলছে ভিন্ন কথা। চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী, ঘটনাটি বিরল হলেও কোনও অপ্রাকৃত ঘটনা নয়। সাধারনত জেনেটিক্যাল সমস্যার কারণেই ওই ধরণের বাছুরের জন্ম হয়ে থাকে কোনও কোনও সময়ে। বিজ্ঞানের ভাষায় একে Congenital Malformation বলা হয়ে থাকে।
Advertisement