এই পোশাকটি দেখতে অনেকটা কোর্টের মতো। বাহ্যিকভাবে একে কোনওভাবেই অন্য সাধারণ কোর্টের থেকে আলাদা করে চেনার উপায় থাকবে না। তবে এর মূল বিশেষত্ব অনেকটাই আলাদা। কোর্টটি গায়ে চাপালেই অদৃশ্য হয়ে যাবে যে কেউ। এমনকি অত্যাধুনিক ক্যামেরার থেকেও নিজেকে অদৃশ্য রাখা সম্ভব হবে। চিনের ওই গবেষক দলটি এই বিশেষ ধরণের কোর্টটির নাম দিয়েছে ‘ইনভিসডিফেন্স’।

অনলাইন ডেস্ক : এই পোশাকের নাম শুনলে হয়তো অনেকেই হ্যারি পটারের সেই অদৃশ্য হওয়ার পোশাকের প্রসঙ্গ টেনে আনবেন। ‘ক্লোক অফ ইনভিজিবিলিটি’ নামের সেই পোশাক গায়ে চাপালেই সহজে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া যেত। হ্যারি পটার ও তার সাথীরা এই পোশাক গায়ে চাপিয়ে অতি সহজেই অনেক অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছে। এরই সঙ্গে খুশি আর বিস্মিত হয়েছে হ্যারি পটার সিরিজের পাঠকেরা বা সিনেমার দর্শকেরা।
এবার এই রকমই একটি অদৃশ্য হওয়ার পোশাক আবিস্কার করে ফেলল চিনের একদল গবেষক। তাঁদের দাবি, এই পোশাক পড়লেই নাকি নিজেকে লুকিয়ে রাখা যাবে আশেপাশের পরিবেশ থেকে। দেখতে পাবে না কেউই। এমনকি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সযুক্ত ক্যামেরাতেও ধরা পড়বে না কোনও কিছুই। অথচ সে নিজে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে সমস্ত কিছুই।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে, আসলে এই পোশাকটি দেখতে অনেকটা কোর্টের মতো। বাহ্যিকভাবে একে কোনওভাবেই অন্য সাধারণ কোর্টের থেকে আলাদা করে চেনার উপায় থাকবে না। তবে এর মূল বিশেষত্ব অনেকটাই আলাদা। কোর্টটি গায়ে চাপালেই অদৃশ্য হয়ে যাবে যে কেউ। এমনকি অত্যাধুনিক ক্যামেরার থেকেও নিজেকে অদৃশ্য রাখা সম্ভব হবে। দিনের আলোতে কোর্ট ধারণকারী ব্যক্তিকে দেখা তো যাবেই না, এমনকি রাতের অন্ধকারে ইনফ্রায়েড ক্যামেরাকেও ধোঁকা দেওয়া যাবে অতি সহজে।
চিনের ওই গবেষক দলটি এই বিশেষ ধরণের কোর্টটির নাম দিয়েছে ‘ইনভিসডিফেন্স’। তাঁদের দাবি, যুদ্ধক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে এই ইনভিসডিফেন্স কোর্টটি। যে কেউ অনায়াসে নজর এড়িয়ে নিজেকে অদৃশ্য রেখে শত্রুর সীমান্তে প্রবেশ করতে পারবে। তবে এই পোশাকের আরও উন্নতি সাধন প্রয়োজন।
যদিও ইনভিসডিফেন্স কে চিন সরকার ছাড়পত্র দেবে কিনা, সে ব্যাপারে রয়েছে একাধিক প্রশ্ন। খোলা বাজারে এই পোশাকের দামও বা কত হতে পারে? অনেকেই হয়তো আকাশ ছোঁয়া দামের কথা ভাবতে পারেন। তবে গবেষকরা আশ্বাস দিয়েছেন, দাম খুব বেশি হবে না এই ইনভিসডিফেন্স এর। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার টাকার কাছাকাছি হতে পারে।