ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন সুরথেশ্বর

Advertisement
20190222 1249082

সর্বানী ধারা : সুপুরের খুব কাছেই বোলপুর-ইলামবাজার রাস্তার ধারে ঐতিহাসিক শিব মন্দিরটি অবস্থিত। নাম সুরথেশ্বর মন্দির। মন্দিরের গর্ভগৃহে যে শিবলিঙ্গটি প্রতিষ্ঠিত, তা প্রায় এক হাজার বছরের প্রাচীন। কথিত আছে আছে রামপালের সামন্ত রাজা সুরথ এই শিবলিঙ্গটি প্রতিষ্ঠা করেন।
     মন্দিরের চতুর্দিকে ভগ্নপ্রায় বেশ কিছু মূর্তি আজও ছড়িয়ে ছিটিয়ে তার প্রাচীনত্ব বহন করে চলেছে। মূল মন্দিরের পাশেই আছে আরও দুটি মন্দির। যেখানে নিত্য পুজো পায় নন্দী আর ভৃঙ্গী।
     জনশ্রুতি আছে, একবার মন্দির সংলগ্ন অঞ্চল বর্গী আক্রমণের কবলে পড়ে। সে সময় মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন সনাতন মিশ্র নামের এক সাত্ত্বিক ব্রাহ্মণ। তাঁর অসীম অলৌকিক ক্ষমতায় সেবারের মতো নাকি বর্গীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। মন্দিরের কোনও অনিষ্ঠ করার সাহস তাঁরা দেখাতে পারেনি। অবশ্য এই রকম কোনও ঘটনা সত্যিই ঘটেছিল কিনা সেই ব্যাপারেও কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেন। ওই ঘটনার ইতিহাস লিখিতভাবে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
     হাজার বছরের প্রাচীন এই মন্দিরে নিত্য পুজো পেয়ে আসছেন মহাদেব। অবশ্য শিবরাত্রির সময়টা একটু অন্যরকমভাবে কাটে। আশেপাশের গ্রামগুলো থেকে এই সময় প্রচুর মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। শিবরাত্রির দিন মেয়েরা শিবলিঙ্গের মাথায় জল ঢেলে ‘বর’ প্রার্থনা করেন। পরের দিন মহোৎসব করে উপস্থিত ভক্তদের খিচুড়ি ভোগ খাওয়ানো হয়।
     শিবরাত্রি উপলক্ষে ছোটখাটো একটা মেলাও বসে মন্দির সংলগ্ন স্থানটিতে। যে মেলা শিবরাত্রির পরেও বেশ কয়েকদিন জাঁকিয়ে রাখে সমগ্র অঞ্চলটিকে।
Advertisement
Previous articleজরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে দেশের প্রথম রেশম কারখানা
Next articleক্রমাগত হারিয়ে যাচ্ছে শনির বলয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here