ইউএফও-র রহস্য ভেদ করতে রীতিমতো তদন্ত কমিটি বসল মার্কিন মুলুকে

Advertisement
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে বেশ কয়েকবার দেখা গিয়েছে ওই জাতীয় কোনও উড়ন্ত চাকতি। সাধারণভাবে যাকে ‘ইউএফও’ বলা হয়েছে। নৌবাহিনীর পাইলটেরা রীতিমতো তার ভিডিও-ও তুলে রেখেছে প্রমাণ হিসাবে। পাইলটদের ধারণা, ওইগুলি আসলেই কোনও ভিনগ্রহী মহাকাশযান। যদিও মার্কিন সরকার এখনও সরকারিভাবে ওই অজানা রহস্যময় উড়ন্ত চাকতিগুলিকে কোনও ভিনগ্রহী মহাকাশযান বলে স্বীকৃতি দেয়নি।
ইউএফও-র রহস্য ভেদ করতে রীতিমতো তদন্ত কমিটি বসল মার্কিন মুলুকে
Symbolic Image – Image by Christian Plass from Pixabay

রঞ্জন সরকার : ইউএফও (UFO)-র নাম শুনলে অনেকেই একটু মুচকি আসেন। ভাবেন, ইউএফও আসলেই কোনও অলিক কল্পনা বা গালগল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। অনেকেই আবার কয়েক কদম এগিয়ে এর মধ্যে রাজনীতির গন্ধও খুঁজে পান। কিন্তু ইউএফও নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসল স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

ইউএফও, যার অর্থ ‘আন আইডেন্টিফাইং অবজেক্ট’। যাকে প্রায়শয় তুলনা করা হয় আকাশে উড়ন্ত কোনও অজানা চাকতির সঙ্গে। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, অনেক আগে রাশিয়া সরকারও আগ্রহ দেখিয়েছিল এই ‘উড়ন্ত চাকতি’ বিষয়ে। কারণ তারাও বহুবার এই অজানা বস্তুটির দর্শন পেয়েছে আশ্চর্যজনকভাবে।

যদিও আকাশে মুহূর্ত মাত্র দৃশ্যমান ওই রহস্যময় বস্তুটি আসলে কি, তার কোনও সদুত্তর আজও খুঁজে পায়নি কেউ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। আর তাতেই কৌতূহল বেড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও।

বেশ কয়েক বছর আগে একবার দর্শন পাওয়া মাত্র মার্কিন এয়ার ফাইটার ধাওয়াও করেছিল ইউএফও-কে। বার কয়েক ছুঁড়েছিল মিশাইলও। কিন্তু ওই পর্যন্ত। মুহূর্তের মধ্যে মহাকাশে হারিয়ে যায় ওই অজানা উড়ন্ত চাকতি। তার নাগাল পাওয়া আজও সম্ভব হয়নি। পরে তার ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছিল মার্কিন সরকার।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে বেশ কয়েকবার দেখা গিয়েছে ওই জাতীয় কোনও উড়ন্ত চাকতি। সাধারণভাবে যাকে ‘ইউএফও’ বলা হয়েছে। নৌবাহিনীর পাইলটেরা রীতিমতো তার ভিডিও-ও তুলে রেখেছে প্রমাণ হিসাবে। পাইলটদের ধারণা, ওইগুলি আসলেই কোনও ভিনগ্রহী মহাকাশযান। যদিও মার্কিন সরকার এখনও সরকারিভাবে ওই অজানা রহস্যময় উড়ন্ত চাকতিগুলিকে কোনও ভিনগ্রহী মহাকাশযান বলে স্বীকৃতি দেয়নি। কারণ এবিষয়ে জোরালো কোনও তথ্যপ্রমাণ তাদের হাতে নেই।

তাই বলে মার্কিন সরকার এখানেই সবকিছু শেষ করে দিতে চাইছে না। এবিষয়ে তদন্তের জন্য গোয়েন্দা দ্বারা রীতিমতো একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে। এই তদন্ত কমিটি আগামী ২৫ জুন তাদের রিপোর্ট পেশ করবে বলে জানা যাচ্ছে। অবশ্য তার আগেই তদন্তের কিছু ফলাফল নিউইয়র্ক টাইমসের কাছে পৌঁছেছে। সেখান থেকে জানা যাচ্ছে, মার্কিন সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্তা দাবি করেছেন, আকাশে ভাসমান ওই অজানা বস্তুটি আর যাইহোক, পেন্টাগনের কোনও গোপন প্রযুক্তির পরীক্ষা নয়।

বিগত ২০ বছরের মধ্যে ১২০টিরও বেশি এইরকম আকাশযানের আনাগোনা বা দৃষ্টিগোচর রেকর্ড করা হয়েছে। যার সবগুলিই এখনও ধোঁয়াশায় রেখেছে গোয়েন্দাদের। তবে তাঁরা এটাও সন্দেহ করছেন, এগুলি রাশিয়া বা চিনের কোনও হাইপারসনিক গবেষণা নয়তো?

তবে আর যাইহোক, ইউএফও বা ওই অজানা ভিনগ্রহীদের নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বেড়েই চলেছে মার্কিন মুলুকে। এখনও পর্যন্ত তার ঠিকঠাক জবাব না পাওয়া গেলেও, স্পষ্টভাবে এবিষয়ে ‘রহস্যময়’ কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে। মার্কিন মুলুকের সেনাপ্রধানেরাও ব্যাপারটি উল্লেখ করেছেন, ‘রহস্যময় মহাকাশযান’ হিসাবে। যদিও সব প্রশ্নের জবাব হয়তো পাওয়া যেতে পারে ২৫ জুন তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর।

Advertisement
Previous articleএবার দুঃস্থ পথ শিশুদের পাশে দাঁড়াল বোলপুরের একদল স্কুল ছাত্রী
Next articleকরোনা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে আমোদপুরে বসল বেশ কয়েকটি ‘মাস্ক-বাক্স’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here