আমোদপুর আবার ফুটে উঠবে রূপালী পর্দার আলো ছায়ায়

Advertisement

এর আগে ২০০৬ সালে বর্ষীয়ান পরিচালক তরুণ মুজমদার “ভালোবাসার অনেক নাম” ছবির শুটিং করতে আমোদপুর শহরকে বেছে নিয়েছিলেন। সেবার শহরের উত্তর-পূর্ব কোণে সাঁইথিয়া ব্লক অফিসের নিকটে ছোট্ট একতলা বাড়িতে সকাল-সন্ধ্যা চলত বিভিন্ন দৃশ্যের শুটিং। সেবার পরিচালক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত নাট্যকার মনোজ মিত্র, পরাণ বন্দোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।



অভিজিৎ ঘোষ : বীরভূম জেলার আমোদপুর একটি পরিচিত মফস্বল। একটা সময় ভূগোল বইয়ের পাতায় এর সুগার মিলের শহর হিসেবে সুখ্যাতি ছিল। আজ কিন্তু সেই সুগার মিল নেই। তবে পড়ে রয়েছে কল-কারখানার অবশেষ আর পুরোনো স্মৃতির গন্ধ।

বেশ কিছুদিন আগেই আমোদপুর শহরের সুগার মিল ও তৎসংলগ্ন সুকান্ত পল্লীর বিভিন্ন জায়গায় শুটিং শেষ হল পরিচালক পৃথা চক্রবর্তীর নতুন সিনেমা “পাহাড়গঞ্জ হল্ট”। গত ৩১ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল এই সিনেমার শুটিং করতে হাজির হয়েছিলেন টলিউডের ঋত্বিক চক্রবর্তী, পাওলী দাম, খরাজ মুখার্জী সহ অন্যান্য কলাকুশলীরা।

যদিও এর আগে ২০০৬ সালে বর্ষীয়ান পরিচালক তরুণ মুজমদার “ভালোবাসার অনেক নাম” ছবির শুটিং করতে আমোদপুর শহরকে বেছে নিয়েছিলেন। সেবার শহরের উত্তর-পূর্ব কোণে সাঁইথিয়া ব্লক অফিসের নিকটে ছোট্ট একতলা বাড়িতে সকাল-সন্ধ্যা চলত বিভিন্ন দৃশ্যের শুটিং। সেবার পরিচালক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত নাট্যকার মনোজ মিত্র, পরাণ বন্দোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।

এবার প্রায় ১৭ বছর পর আমোদপুর এর বুকে কোনও বাংলা সিনেমার শুটিং হল। বর্তমান প্রজন্মদের কাছে এটা একটা বিরাট পাওনা। কেন না সিনেমার পর্দায় ঘটনাগুলো দেখে অভ্যস্ত, সেগুলো চাক্ষুষ করা অনেকখানি পাওনা। তাই শুটিং দেখতে হাজির ছিল উৎসুক জনতা। কেউ সুযোগ পেলেই ছবি তুলছে শুটিং-এর দৃশ্যের, আবার কেউ পছন্দের চরিত্রের সাথে ছবি তুলে রাখছেন।

বন্ধ হওয়া সুগার মিল, সুকান্ত পল্লীর বিভিন্ন জায়গার দৃশ্য ছবিতে দেখা যাবে। এই সিনেমার মাধ্যমে আবার একবার আমোদপুর এর সুগার মিলের নাম ছড়িয়ে পড়বে এই আশা রাখে এলাকাবাসী।

এছাড়াও, আমোদপুর এলাকার বেশ কিছু মানুষ ও ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনয় করতে দেখা যাবে এই সিনেমাতে। তবে তাদের সবাইকেও বাকহীন চরিত্রেই দেখা যাবে বলে জানা গিয়েছে। চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সাথে কথা বলে জানা গেল, সিনেমাটির বাকি শুটিং হবে কলকাতাতে।

সত্তর-আশির দশকে তপন সিংহ ছাড়াও বহু পরিচালক আমোদপুরের আশেপাশের গ্রামকে বেছে নিতেন ছবির আউটডোর দৃশ্যের জন্য। হাঁসুলি বাঁকের উপকথা, বালিকা বধূ, গণদেবতা ইত্যাদি সাহিত্য নির্ভর উপন্যাসগুলির শুটিং হয়েছে সন্দিপুর বটতলায়।

আমোদপুর এর মতো শহরের দৃশ্য সিনেমায় ফুটে উঠুক, চান স্থানীয় বাসিন্দারা। কেন না আমোদপুর এর পাশে রয়েছে বহু গ্রাম, আদিবাসী পল্লী, নির্মল নদীর তীর, মাঠ, জঙ্গল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, টলিউডের নবীনা পরিচালক পৃথা চক্রবর্তী ‘মুখার্জীদার বউ’ এর পর ‘পাহাড়গঞ্জ হল্ট’ হল তার দ্বিতীয় ছবি। নিজের প্রতি ভালোবাসা বা আত্মরতির বার্তা দেবে এই ছবি। সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার ছবি হবে এটি। ছবিতে নারী পুরুষের মধ্যে যে প্রেমের সম্পর্ক সেটা দেখানো হবে নতুন আঙ্গিকে।

Advertisement
Previous articleভেষজ আবির তৈরিতে সামিল হয়েছেন গ্রামের গৃহবধূরা
Next articleMocha : কবে, কোথায়, কীভাবে আঘাত হানবে দানব?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here