খুঁজে পাওয়া এই ডিঙি নৌকা বা ক্যানো-টি আবিস্কার করেছেন আইএনএইচ-এর একটি গবেষক দল। তাঁরা এটি খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ মেক্সিকোর কুইন্তানা ও জুকাতান এর মধ্যবর্তী অঞ্চলে। ঐতিহাসিকদের মতে জুকাতান ছিল মায়া সভ্যতার একটি প্রবিত্র স্থান। ওই অঞ্চলে মেক্সিকোর ‘মায়া ট্রেন’ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের সময় প্রত্নতত্ত্ববিদরা এই ডিঙি নৌকাটির সন্ধান পান। প্রাথমিকভাবে তাঁরা অনুমান করছেন, এটি ৮৩০-৬৫০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে ব্যবহার করা হত।

অনলাইন পেপার : সম্প্রতি আবিস্কার হয়েছে মায়া সভ্যতার একটি ডিঙি নৌকা। প্রত্নতত্ত্ববিদরা যার নাম রেখেছেন ‘ক্যানো’। আবিস্কারের সময় এটি প্রায় অক্ষতই ছিল। তাঁরা ধারণা করছেন মায়া সভ্যতার মানুষেরা প্রায় ১২০০ বছর পূর্বে এই ডিঙি নৌকাটি ব্যবহার করত।
মায়া সভ্যতা ছিল সমসাময়িক অন্য সভ্যতাগুলির তুলনায় অনেকটাই আধুনিক। এই সভ্যতার পত্তন ঘটেছিল খ্রিষ্টপূর্ব ২৬০০ সালেরও পূর্বে। টিকে ছিল ১১০০ খ্রিস্তাব্দ পর্যন্ত। এই সভ্যতার বিস্তার ছিল মেক্সিকো, হন্ডুরাস, গুয়াতেমালা ও এল সাল্ভাদর পর্যন্ত। তবে মেক্সিকোতেই এই সভ্যতার নিদর্শন ছিল সবচেয়ে বেশি। তাই অনেক ঐতিহাসিক মায়া সভ্যতাকে মূলত মেক্সিকান সভ্যতা হিসাবেই উল্লেখ করেছেন।
২০০৯ সালে মায়া সভ্যতার নাম বিশেষভাবে ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে। কারণ ওই বছর ‘2012’ নামের একটি হলিউড মুভি রিলিজ হয়েছিল। যেখানে মায়া সভ্যতার ভবিষ্যতবাণী অনুসারে পৃথিবীতে নতুন যুগ শুরু হওয়ার পটভূমি দর্শকের মাঝে তুলে ধরেছিলেন ফিল্ম নির্মাতারা। অনেকেই মুভির ঘটনাটি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করতে শুরু করে। তাদের ধারণা হয়, মায়া সভ্যতার মানুষেরা নাকি ভবিষ্যতবাণী করে গিয়েছিল, ২০২১ সালে ধ্বংস হবে পৃথিবী। এই ধারণা পৃথিবী জুড়ে ব্যাপক শোরগোলও তুলে দিয়েছিল।
আসলে তেমনটি কখনওই বলেনি মায়া সভ্যতার মানুষেরা। তারা ধর্মীয় কারণে দিনপঞ্জি তৈরি করতে জানত। আর তাদের সেই দিনপঞ্জি ছিল প্রায় অনেকটাই নিখুঁত। দিনপঞ্জিটিতে প্রায় ৫৪ কোটি বছরের দিন-রাতের হিসাব নিখুঁতভাবে উল্লেখ করা ছিল। এখানে বেশ কয়েকবার যুগ পরিবর্তনের কথা রয়েছে। এই দিনপঞ্জির হিসাব অনুযায়ী, ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বরের পর পৃথিবীতে শুরু হচ্ছে একটি নতুন যুগ। সেখানে পৃথিবী ধবংসের মতো কোনও কথা উল্লেখ করা নেই।
খুঁজে পাওয়া এই ডিঙি নৌকা বা ক্যানো-টি আবিস্কার করেছেন আইএনএইচ-এর একটি গবেষক দল। তাঁরা এটি খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ মেক্সিকোর কুইন্তানা ও জুকাতান এর মধ্যবর্তী অঞ্চলে। ঐতিহাসিকদের মতে জুকাতান ছিল মায়া সভ্যতার একটি প্রবিত্র স্থান। ওই অঞ্চলে মেক্সিকোর ‘মায়া ট্রেন’ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের সময় প্রত্নতত্ত্ববিদরা এই ডিঙি নৌকাটির সন্ধান পান। প্রাথমিকভাবে তাঁরা অনুমান করছেন, এটি ৮৩০-৬৫০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে ব্যবহার করা হত। তাঁরা আরও অনুমান করছেন এই ডিঙি নৌকাটি ব্যবহার করা হত সম্ভবত মায়া সভ্যতার ধর্মীয় কোনও কাজে।