আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ভেঙে পড়তে পারে ২০৩১ সাল নাগাদ

Advertisement

নাসা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন-টি ২০২৪ সাল পর্যন্ত সচল রাখার কথা ছিল। তবে পরে সদস্য সংস্থাগুলি একমত হয়ে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরের বছর অর্থাৎ ২০৩১ সালের প্রথম দিকে এটিকে পৃথিবীতে নামিয়ে আনা হবে। পৃথিবীর কোথায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন-টিকে ভেঙে ফেলা হবে তারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সদস্য সংস্থাগুলি।


আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ভেঙে পড়তে পারে ২০৩১ সাল নাগাদ
Symbolic Image – Image by Wikilmages from Pixabay

অনলাইন পেপার : ২৩ বছরেরও বেশ সময় ধরে নিজের দায়িত্ব পালন করেছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। আর ৯ বছর এই এই দায়িত্বে রাখা হবে এটিকে। তারপর ফিরিয়ে আনা হবে পৃথিবীর বুকে। ভেঙে ফেলা হবে প্রশান্ত মহাসাগরের নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলে। নাসা সূত্রে জানা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন-টি ভেঙে পড়তে পারে ২০৩১ সাল নাগাদ।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০ নভেম্বর ১৯৯৮ সালে। পৃথিবীর নিম্ন কক্ষে ওই দিন এটিকে স্থাপন করা হয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন-টির বর্তমান সদস্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান, কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১১টি দেশ। এই ১৫টি দেশের ৫টি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন-টি ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও ব্রাজিল সদস্য না হলেও নাসার সঙ্গে একটি চুক্তি মাধ্যমে ওই স্টেশনটিতে নিয়মিত কাজ করার অধিকার পেয়েছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন-টি ভূপৃষ্ঠ থেকে খালি চোখেও দেখা সম্ভব। এটি প্রতিদিনই পৃথিবীকে ১৫.৭ বার প্রদক্ষিণ করে।

নাসা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন-টি ২০২৪ সাল পর্যন্ত সচল রাখার কথা ছিল। তবে পরে সদস্য সংস্থাগুলি একমত হয়ে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরের বছর অর্থাৎ ২০৩১ সালের প্রথম দিকে এটিকে পৃথিবীতে নামিয়ে আনা হবে। পৃথিবীর কোথায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন-টিকে ভেঙে ফেলা হবে তারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সদস্য সংস্থাগুলি। জানা গিয়েছে, এটিকে ভেঙে ফেলা হবে প্রশান্ত মহাসাগরের ‘পয়েন্ট নিমো’-তে। সাধারণত ওই স্থানেই অধিকাংশ মহাকাশ যানগুলির ধ্বংসাবশেষ ভেঙে ফেলা হয়।

এছাড়াও সূত্রে জানা গিয়েছে, পরবর্তী মহাকাশ অভিযানগুলি বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির সহযোগিতায় পরিচালনা করতে চায়ছে নাসা। এক্ষেত্রে উৎক্ষেপণ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন-গুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে ওই সংস্থাগুলি। নাসা যা ব্যবহার করবে, শুধুমাত্র সেগুলিরই অর্থ খরচ করবে তারা। এতে সময় ও অর্থ দুই-ই সাশ্রয় হবে বলে ধারণা করছে নাসা। মহাকাশ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে নাসা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিও সেরে ফেলেছে।

Advertisement
Previous articleপশ্চিমী ঝঞ্ঝা : বৃষ্টির হাত ধরেই কি তবে বিদায় নিচ্ছে এবছরের শীত?
Next articleগাঁজা এখন বৈধ, এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে থাইল্যান্ডের ঘোষণা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here