Advertisement
সুজয় ঘোষাল : সমস্ত বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে নির্দিষ্ট সময় অর্থাৎ ৭ই পৌষ (২৪ ডিসেম্বর) শুরু হচ্ছে শান্তিনিকেতনের পৌষ উৎসব ও মেলা। যদিও মেলা শুরুর একেবারেই শেষ লগ্ন পর্যন্তও মেলা হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নিজের দায়িত্বেই মেলা পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই বছরই প্রথম পৌষমেলার দুর্নীতি রুখতে অনলাইনে স্টল বুকিং-এর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সেই মতো ৪ ডিসেম্বর থেকে বুকিং প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গেল, চারদিনের এই মেলার স্টল ভাড়া ধার্য করা হয়েছে স্টল প্রতি ২৫৫০ টাকা থেকে ৮৭৫০০ টাকা। তাছাড়াও স্টল বুকিং-এর সময় স্টল মালিকের পরিচয়পত্র সহ সিকিউরিটি অর্থ মেলা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা রাখা হয়েছে। যদি চারদিন পর কোনও স্টল মেলা প্রাঙ্গণ থেকে না ওঠে সেক্ষেত্রে তাকে জরিমানা করা হবে ৫০০০ টাকা থেকে ২০০০০ টাকা। এই টাকা সিকিউরিটি অর্থ থেকে কেটে নেওয়া হবে। তবে ডোকরা, মৃৎশিল্প, পটুয়া শিল্পের স্টল মালিকদের কোনও স্টল ভাড়া লাগবে না। পৌষমেলাকে পরিবেশ বান্ধব করতে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে এইরকম কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মেলা বসার আগে বারবারই শিরোনামে ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সংঘাতের খবর পাওয়া গিয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী সমিতির বেশ কিছু দাবি ছিল। তার মধ্যে অন্যতম ছিল, মেলা বসানোর ক্ষেত্রে ৫০–৭০ শতাংশ ভাড়া ছাড় দিতে হবে, সিকিউরিটি মানি পুরোটাই মুকুব করতে হবে, চারদিনের মেলা হলেও আরও দু’দিনের ভাঙা মেলা করার অনুমতি দিতে হবে। যদিও ব্যবসায়ী সমিতির সব দাবি না মানলেও বিশ্বভারতী কৃর্তপক্ষ তাদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছে।
Advertisement