অনুমতি পেল ‘ইট জাস্ট’, এবার বাজারে আসবে কৃত্রিম মুরগীর মাংস

Advertisement
সিঙ্গাপুর সরকার সম্প্রতি তাদের নিজেদের দেশে অনুমতি দিয়েছে স্যান ফ্রান্সিস্কোর ‘ইট জাস্ট’ কোম্পানিকে তাদের পরীক্ষাগারে তৈরি মুরগীর মাংস বিক্রি করার। সম্ভবত সিঙ্গাপুরই প্রথম কোনও দেশ হিসাবে এই মাংস বিক্রি করার অনুমতি দিল। তবে অনুমতি দেওয়ার আগে এই মাংস যে সম্পূর্ণ নিরাপদ বা খাওয়ার উপযুক্ত তা যাচাই করে নিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার। সিঙ্গাপুর ফুড এজেন্সির দাবি, এই মাংসে কোনও রকম এন্টিবায়োটিক নেই। এছাড়াও অন্য সাধারণ মুরগীর মাংসের তুলনায় জীবাণুও যথেষ্ট কম রয়েছে।

অনুমতি পেল ‘ইট জাস্ট’, এবার বাজারে আসবে কৃত্রিম মুরগীর মাংস
Symbolic image – Image by Sharon Ang from Pixabay

অনলাইন পেপার : প্রাত্যহিক জীবনে আমিষভোজীদের খাদ্য তালিকায় মাংসের স্থান যে অনেক উপরে, তা আর বলে দিতে হয় না। ডিম বা মাছ তো প্রায় প্রতিদিনের ব্যাপার। কিন্তু ক্রয়মূল্য সামান্য বেশি হওয়ায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাংসকে তেমন স্থান দেওয়া হয় না। তবে বঙ্গদেশের অতি সাধারণ বাঙালিরাও সপ্তাহে অন্তত একবার স্বাদ বদলের জন্য মাংস খেতে চান।

মাংসের মধ্যে অবশ্য মুরগীর মূল্য যথেষ্ট কম। সকল শ্রেণীর মানুষের কাছেই এই মাংস প্রায় সাধ্যের মধ্যে। মুরগীর মাংসেরও রয়েছে একাধিক রকমফের। আর সেই সঙ্গে মূল্যেরও হেরফের হয়। তবে সে যাইহোক, যে কোনও প্রকারের মাংস পাওয়া মানেই কোনও না কোনও প্রাণীকে অবশ্যই মরতে হয়। অথবা খুব ভালো করে বললে, নিরীহ প্রাণীকে হত্যা করেই ছিনিয়ে নিতে হয় তার মাংস। আর এই ঘটনাটিই সম্পূর্ণ না পছন্দ পশু প্রেমীদের। দীর্ঘদিন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক পশুপ্রেমী এই রকম পশু হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। এছাড়াও পশু কল্যাণ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পরিবেশ দূষণ নিয়েও বিশ্ব জুড়ে ক্রমশই উদ্বেগ বাড়ছে।

কিন্তু এবার সম্পূর্ণ ভিন্নরূপে বাজারে আসতে চলেছে মুরগীর মাংস। তবে এই মাংস হেঁটে-চলে বেড়ানো কোনও মুরগীকে জোর করে হত্যা করে তার থেকে মাংস ছিনিয়ে নেওয়া নয়। রীতিমতো পরীক্ষাগারে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করা তাজা-ফ্রেস মুরগীর মাংস। বিবিসি সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, সিঙ্গাপুর সরকার সম্প্রতি তাদের নিজেদের দেশে অনুমতি দিয়েছে স্যান ফ্রান্সিস্কোর ‘ইট জাস্ট’ কোম্পানিকে তাদের পরীক্ষাগারে তৈরি মুরগীর মাংস বিক্রি করার। সম্ভবত সিঙ্গাপুরই প্রথম কোনও দেশ হিসাবে এই মাংস বিক্রি করার অনুমতি দিল।

তবে অনুমতি দেওয়ার আগে এই মাংস যে সম্পূর্ণ নিরাপদ বা খাওয়ার উপযুক্ত তা যাচাই করে নিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার। সিঙ্গাপুর ফুড এজেন্সির দাবি, এই মাংসে কোনও রকম এন্টিবায়োটিক নেই। এছাড়াও অন্য সাধারণ মুরগীর মাংসের তুলনায় জীবাণুও যথেষ্ট কম রয়েছে।

সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই মাংস প্রাণী হত্যা করে তৈরি করা হয়নি। অথবা এটি কোনও উদ্ভিজ্জ মাংসও নয়। এই মাংস গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে প্রাণীর পেশিকোষ কালচার করে। বাজারে ছাড়ার প্রথম দিকে এই মাংস চিকেন নাগেট হিসাবে বিক্রি হবে।

তবে কবে থেকে এই কৃত্রিম মাংস বাজারে আসতে পারে, সে সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি। অন্য সূত্র বলছে, বাজারে বিক্রিয় সময় মাংসের মূল্য হতে পারে পিস প্রতি প্রায় ৫০ ডলার। তবে এই মূল্য পরে কমে যাবে।

Advertisement
Previous article‘ডিজিটাল ডিভাইড’ যেন না থাকে, এই উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন
Next articleসংঘর্ষের পর কী রকম পরিবর্তন আসতে পারে আকাশগঙ্গা গ্যালাক্সিতে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here